উদার, সৎ ও আদর্শবান কর্মকর্তার বদলিতে ব্যথিত বোরহানউদ্দিনবাসী

মোঃ আশিক পণ্ডিতঃ , বোরহানউদ্দিন (ভোলা)

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন মোঃ মেহেদী হাসান। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তিনি সততা, নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধ দিয়ে সরকারি সেবা প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। সৎ কর্মকর্তার মাধ্যমে জনসেবা পাওয়া আজকের দিনে বিরল এক অভিজ্ঞতা হলেও তিনি সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন।

তার বদলির খবর শুনার পরেই বোরহানউদ্দিনের হাজারো মানুষের ফেইজবুকের আবেগময় উক্তির ছড়াছড়ি।

উপজেলার সাধারণ মানুষ জানান, ভূমি অফিসে দীর্ঘদিন ধরে দালালদের দৌরাত্ম্য ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই এসিল্যান্ড মোঃ মেহেদী হাসান কঠোর অবস্থান নিয়ে ভূমি সেবায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন। শুধু তাই নয়, ৫ আগস্ট পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর পাল্টে যায় পৌরসভার চিত্রও। অবৈধ ড্রেজার, দখলদার, প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে তিনি অল্প সময়েই সর্বমহলে প্রশংসা কুড়ান।

গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় তিনি হয়ে ওঠেন আশ্রয়ের নাম। তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপ সময়োপযোগী এবং কল্যাণমুখী হওয়ায় বোরহানউদ্দিনের সাধারণ মানুষের হৃদয়ে বিশেষ স্থান করে নিয়েছেন। কিন্তু হঠাৎ করেই তাঁর বদলির খবরে ব্যথিত হয়ে পড়েছে পুরো উপজেলাবাসী।

স্থানীয়রা বলছেন, বদলি সরকারি চাকরিরই অংশ। তবে একজন কর্মকর্তা যখন জনস্বার্থে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনেন, তখন অন্তত তাঁর হাতে নেওয়া কাজগুলো বাস্তবায়নের সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল। অনেকের মনেই প্রশ্ন—“মানুষের জন্য ভালো কাজ করাতেই কি তাঁকে দ্রুত বদলি করা হলো?”

উপজেলার সাধারণ মানুষ দাবি তুলেছেন, এ বদলির আদেশ বাতিল করে তাঁকে বোরহানউদ্দিনেই রাখা হোক। তাঁদের বিশ্বাস, এসিল্যান্ড মেহেদী হাসানের মতো কর্মকর্তারা হলেন রাষ্ট্রের প্রকৃত সম্পদ, যারা সরোয়ার আলম, আব্দুল কুদ্দুস কিংবা আকবর আলী খানের মতো সৎ ও আদর্শবান কর্মকর্তাদের প্রতিচ্ছবি।

সুখী, সুন্দর ও কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠনে এমন কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে উপজেলাবাসীর একান্ত আবেদন—মোঃ মেহেদী হাসানের বদলির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে তাঁকে এখানেই রেখে দেওয়া হোক।

Leave a Reply