হাকিমপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক এস এম জাহাঙ্গীর আলমের খুঁটির জোর কোথায় – পর্ব- ০১

মোঃ মাহবুব হোসেন মেজর, দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

হাকিমপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত ওসি) এসএম জাহাঙ্গীর আলম বিরুদ্ধে ঘুষ দুর্নিতি ও অনিয়মের খবর একাধিক বার দেশের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়াই পাবলিষ্ট হলেও আজ প্রর্যন্ত তাহার কোন টনক নড়েনি। ইদানিং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে তাহার বিরুদ্ধে বিভিন্ন লেখা লেখি হলেও একটু টনক ও নড়েনি।

সে বিভিন্ন জায়গায় বলে বেড়াচ্ছেন সাংবাদিকেরা আমার বিরুদ্ধে লেখেই কিছু করা পারলো না।আর সাধারন মানুষ লিখে কি করতে পারবে। এগুলো আমি ভয় করি না। সে আরও বলেন আমার বাড়ী পাবনাতে হলেও আমার বৌ বাচ্চারা থাকেন ঢাকাতে।ঢাকায় আমার অনেক বড় হাত আছে। তাই আমার বিরুদ্ধে লিখে কেহ কিছুই করতে পারবে না। সে দির্ঘ ২ বছরের ও মনে হয় বেশি হবে ৩/৪ জন ওসি এই হাকিমপুর থানা থেকে চলে গেলেও চলে গেলেও তদন্ত ওসি জাহাঙ্গীর আলমের পদ পদবি বহাল ই আছেন।

ওসি না থাকায় বেশ কয়েক বার ভারপ্রাপ্ত ওসির দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। ওসি হওয়ার জন্য চেষ্টাও এখন প্রর্যন্ত চালাচ্ছেন। ওসি এবং দারোগাদের বিরুদ্ধে তাহার উপর মোহলে মিথ্যা উল্টা- পাল্টা লাগার কারনে কোন ওসি বা কোন দারোগা বেশি দিন থাকতে পারেন না। একটি গোপন সুত্রে জানা গেছে বিজ্ঞ দিনাজপুর আদালতের সি আর মামলা গুলোর তদন্ত সে নিজেই করেন। বর্তমানে এই থানার কর্মরত দারোগা ও অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের বদলি করা বা বিভিন্ন ভয়ভিতির চাপে রাখেন। তাহার বিরুদ্ধে হাকিমপুর থানার বেশির ভাগ পুলিশিই ক্ষিপ্ত।

যা প্রতিটি পুলিশের নিকট জানতে চাইলেই আরও ঘুষ দুর্নিতি ও অনিয়মের খবর পাওয়া যাবে। তাহার বিরুদ্ধে বেশ কয়েক বার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হওয়ার পরও কোন টনক নড়েনি। তাই সে দিনেন পর দিন অপরাধ করেই বেড়াচ্ছেন। দেখার মনে হয় কেহ নেই। আসলেই তাহার খুটির জোর কোথায়, জানতে চান হাকিমপুরবাসী। পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত ওসি) এস এম জাহাঙ্গীর আলম আবার মে গত ০৪/০৭/২৫ ইং তারিখ ভোর আনু ৪ টায় দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলার বৈগ্রামের মৃত্যু এছাহার আলির ছেলে মোঃ রিয়াজুল ইসলাম কে তাহার শশুর বাড়ি হিলি উত্তর বাসুদেবপুর থেকে মোঃ রিয়াজুল ইসলাম কে পাবনা আfতাইকুলা থানার মামলা নং- ৭। তাং- ২৯/০৬/২৫ ইং তারিখ ও পাবনা আতাইকুলা থানার জি ডি নং- ১৬৭/তাং- ০/৭/২৫ ইং মুলে পাবনা থানার এস আই বজলুর রশিদ তালুকদার ও হাকিমপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্তওসি) এস এম জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে রিয়াজুল কে তার প্রবাসী ফেরত স্ত্রীর অতি কষ্টের কেনা প্রাইভেট নোহা গাড়ী সহ ধরে নিয়ে যায় পাবনা আতাইকুলা থানায়।

এ বিষয়ে স্হানীয় সাংবাদিক মাহবুব হোসেন মেজর, এশিয়ান টিভি, হাকিমপুর প্রতিনিধি তদন্ত ওসির নিকটে জানতে চান আসামী মোঃ রিয়াজুল ইসলাম কে ও তাহার স্ত্র্রীর প্রাইভেটটি নোহা গাড়িটি কোন অপরাধে ধরে আনা হলো। তখনি সে বলেন তাহার নাম সহ হিলির বেশ কিছু ব্যাক্তির নামে ডাকাতি ও মানব পাচারের মামলা রয়েছে। এই নোহা গাড়ি দ্বারা ডাকাতি ও মানব পাচার করে। তাই গাড়ি সহ মোঃ রিয়াজুল ইসলাম কে পাবনা আতাইকুলা থানার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। যা পাবনা আতাই কুলা থানার মামলা নং- ৭/ তাং- ২৯/০৬/২৫ ইং।

এই মামলায় তাহাকে গ্রেফতার করা হয়। এই আসামী ও গাড়ী সহ পাবনা আতাইকুলা থানায় না পৌছেতেই ৪/৫ টি সিভিল প্রাইভেট দামী কার রিয়াজুলের নোহা গাড়ী থেকে নেমে ঐ প্রাইভেট কারে ওঠায় শুধু রিয়াজুল ইসলামকে। আসলেই ঐ প্রাইভেট গুলো কাহাদের ছিলো। এরা কারা। এসব প্রাইভেটের কারের বহর কাদের। এসব বহর কি পুলিশের না পাবনার কোন গোল্ড পাচার কারীদের। না কোন সন্ত্রাসীদের। তাহাদের গাড়িতে রিয়াজুল ইসলামকে ওঠা মাত্রই শুরু করেন বিভিন্ন, হুমকি, ধামকি তাহাদের ইচ্ছামত ভিডিও কথা রেকর্ড করেন। তাসলেই তাহারা কারা। কেনই বা এভাবে ব্লাক- মেইল করছিলেন। পাবনা আতাইকুলা থানায় না পৌছাতেই আবার একটি মুটো ফোনে কল দেন রিয়াজুল ইসলামের প্রবাসী ফেরত স্ত্রী মোছাঃ শাপলা বেগমের মুঠো ফোনে।

মুঠো ফোনে বলেন- আপনার স্বামীকে বাঁচাতে চাইলে রাতের মধ্যেই বা আগামী কাল সকাল ৭ টার মধ্যৈই ৩ লাখ টাকা নিয়ে পাবনায় আসলেই আপনার স্বামী মোঃ রিয়াজুল ইসলামকে ছেড়ে দেওয়া হবে। না আসলে আপনার স্বামীর নামে ডাকাতি বা আর ও বড় ধরনের মামলা হবে। এভাবে বললে মোঃ রিয়াজুল ইসলাম তাহার স্ত্রী মোছাঃ শাপলা বেগম, শাপলা বেগমের কোলে শিশু বাচ্ছা সহ টাকার পরিবর্ত্বে ৪ লাখ টাকা মুল্যের নতুন হোন্ডা মোটর সাইকেল, টি পিকাপে করে নিয়ে পরিবারের ৭ জন যাওয়া হয় পাবনা আতাইকুলা থানা গেটের সামনে।

সেখানে পৌছে মুঠো ফোনে ডাকছিলেন সে ফোনে সকাল ৭ টায় ফোন দিলে তাহারা জানান ১১ টায় দেখা হবে। ঠিক সকাল ১১ টায় হোন্ডার কাগজ পত্র সহ হোন্ডাটি লিখে নেওয়া হয়। বিভিন্ন সাদা কাগজে ৩০০ টকার ষ্ট্যাম্প ও একটি ডায়রীতে। ডায়রীতে সাংবাদিকের স্বাক্ষর করে নিতে বাধ্য করে স্বাক্ষর করে নেওয়া হয়। তারপর জিবন নিয়ে টানা টানি। আবার চাপ দেন গাড়িটি রিয়াজুল ইসলাম মুল মালিক হওয়াই আবার সাংবকদিক ও রিয়াজুলকে বাধ্য করান জপুরহাট গিয়ে তাহাদের নামে মুলমালিকানা করে নেওয়ার। এসব তাহাদের প্রস্তাবে রাজি হলে গাড়ি সহ মোঃ রিয়াজুল ইসলামকে নোহাগাড়িটি সহ থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

অবশেষে জয়পুরহাট এসে ২৯,৫০০ টাকা শোরুমের মালিকের বিকাশে দিলে গাড়িটি তাহাদের নামে নাম পরিবর্তন করা ও ঢাকা রেজিষ্ট্রেশন করক বাবদ ২৯, ৫০০ টাকা দেওয়া হয়। ৪ লাখ টাকা হোন্ডাটি দিয়েই অবশেষে মোঃ রিয়াজুল ইসলামকে ও তাহাদের নোহা গাড়িটি ছেড়ে দেওয়া হয়।

গোপনে জানা গেছে তাহারা বড় মাপের গোল্ড ব্যাবশায়ী। তাহারা পারে না দুনিয়ার এমন কোন কাজ। তাহলে গাড়িটির কি ছিল অপরাধ। কেনই বা গাড়িটি নেওয়া হলো। এজাহার ভুক্ত আসামীকে আবার শুধু সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে নিয়ে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হলো। ডাইরীতে ৩ জনের স্বাক্ষর করে নিতে বাধ্য করে নেওয়া হলো এসবের মুল রহস্য কি? ২ য় পর্বে চোখ রাখুন।

Leave a Reply