
মোঃআনজার শাহ:-
সাংবাদিকতা কেবল একটি পেশার নাম নয়। এটি এক ধরনের দায়বদ্ধতা, এক নিরন্তর সংগ্রাম এবং সর্বোপরি সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার।
সমাজ যখন বিভ্রান্তির ঘূর্ণাবর্তে আটকে যায়, অন্যায়, দুর্নীতি ও অবিচারের অন্ধকারে শ্বাসরুদ্ধ হতে থাকে, তখন সাংবাদিকের কলম হয়ে ওঠে আলোর দিশারী। সেই কলমই জাগায় প্রশ্ন, উন্মোচন করে সত্য এবং পথ দেখায় পুরো জাতিকে।
আজকের বিশ্বে তথ্য যেন হাতের মুঠোয়। মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ছে সংবাদ, ছবি আর মতামত। কিন্তু এই সুবিধার আড়ালেই লুকিয়ে আছে গুজব ও মিথ্যার বিষবাষ্প। আর সেখানেই সাংবাদিকের ভূমিকা হয়ে উঠছে আরও তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ প্রকৃত সাংবাদিক জানেন—শুধু খবর পৌঁছে দেওয়া নয়, বরং জনমত গড়ে তোলা, নীতি নির্ধারণে প্রভাব বিস্তার করা এবং নাগরিকদের সচেতন করে তোলাই তার মূল দায়িত্ব।
একজন সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিক কখনো কেবল তথ্য সংগ্রহে থেমে থাকেন না। তিনি খোঁজেন এর গভীরে লুকানো বাস্তবতা। কোন খবর জনস্বার্থে অপরিহার্য, কোনটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত—এই বাছাই করার সাহস এবং নৈতিকতাই সাংবাদিকতার মেরুদণ্ড।
কিন্তু বাস্তবতা সবসময় সহজ নয়। রাজনৈতিক প্রভাব কিংবা ব্যবসায়িক স্বার্থ প্রায়ই সাংবাদিকতাকে ঘিরে ধরে। তখন সত্য চাপা পড়ে মুনাফার নিচে। অথচ ইতিহাস আমাদের শেখায়—যারা ভয়কে জয় করেছেন, যারা নির্ভয়ে সত্য প্রকাশ করেছেন, তারাই অমর হয়ে রয়েছেন মানুষের অন্তরে।
সাংবাদিকতার ভিত্তি দাঁড়িয়ে আছে কয়েকটি অনড় নীতির ওপর: নিরপেক্ষতা, সত্যনিষ্ঠা, জবাবদিহিতা এবং জনগণের পক্ষে অবস্থান। গণতন্ত্রের ভিতকে দৃঢ় করতে, সমাজকে ন্যায় ও নৈতিকতার পথে পরিচালিত করতে সাংবাদিকরাই এগিয়ে আসেন প্রথম সারিতে।
এই প্রজন্মের তরুণদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী শেখ আলমগীর হোসেন। তার ভাষায়—
“সত্য ও ন্যায়ের সহযোদ্ধা হয়ে এগিয়ে আসো। মনে রেখো, একটি কলম, একটি প্রতিবেদন কিংবা একটি ছবি—পরিবর্তন এনে দিতে পারে পুরো জাতির চেতনায়।”