
সৈয়দ সময় , নেত্রকোনা :
নেত্রকোনায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৮০৯ কর্মকর্তা-কর্মচারীর গণছুটি ঘোষণায় বিদ্যুৎ সেবায় অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এতে সাড়ে ৬ লাখেরও বেশি গ্রাহক বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মুখে পড়ার শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একযোগে কর্মস্থল ত্যাগ করলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীরা জানাচ্ছেন, বৈষম্য দূরীকরণ, শোষণ ও নিম্নমানের সরঞ্জাম ব্যবহার বন্ধ, চাকরি নিয়মিতকরণ এবং বরখাস্তকৃতদের পুনর্বহালসহ চার দফা দাবিতে তারা পাঁচ দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে আসছেন।
তাদের দাবি-আন্দোলনে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ইতোমধ্যেই চারজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি)। প্রথমে এজিএম (প্রশাসন) ও এইচআর মো. রাশেদুল আলম খন্দকারকে বরখাস্ত করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার আরও তিন কর্মকর্তা-কর্মচারী সহকারী এনফোর্সমেন্ট কো-অর্ডিনেটর মো. ওমর ফারুক, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মো. আবু হাসান এবং বিলিং সহকারী জ্যাকুলিন বাশার বরখাস্ত হন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সবাই গণছুটি ঘোষণা করেন।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা গেছে, জেলায় মোট ৬ লাখ ৫০ হাজার গ্রাহক, ২০টি সাবস্টেশন ও ২৬টি অভিযোগ কেন্দ্র রয়েছে। গণছুটির কারণে গ্রাহকসেবার কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। তীব্র গরমে বিদ্যুৎ বিপর্যয় হলে জনভোগান্তি চরমে পৌঁছাবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
উল্লেখ্য, ১৭ থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে বিভিন্ন সমিতির ২৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বরখাস্তের প্রতিবাদে ৩১ আগস্ট থেকে দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। ইতোমধ্যে বরখাস্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ জনে।