পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:-
চট্টগ্রামের পটিয়া যুগ্ন জেলা জজ আদালতে অনিয়ম, দূর্নীতি, ঘুষ গ্রহণ, নথি গায়েব, আলামত নষ্ট সহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে ৩ ভাইয়ের বিরুদ্ধে। আদালতে কাজ করার সুযোগ নিয়ে এলাকার লোকজনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে বলেও অভিযোগ। গতকাল ১৯ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) পটিয়ায় একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগি পরিবার এ অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগে খোরশেদ আলম নামের এক ব্যক্তি জানান, পটিয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ গোবিন্দরখীল এলাকার নুর মোহাম্মদের পূত্র নজরুল ইসলাম শওকত পটিয়া যুগ্ম জেলা জজ আদালতে রেকর্ডরুমে খসড়া খতিয়ান লেখার কাজ নিয়ে গত ৬/৭ বছর ধরে পুরো রেকর্ডরুম তার নিয়ন্ত্রনে নেয়।
এরপর যুগ্ন জেলা জজের পেশকারকে ম্যানেজ করে তার ভাই সাজ্জাদ হোসেনকে মামলার নথি আনা নেওয়ার কাজে দেন। সে সাথে তার চাচাতো ভাই আমিনের পূত্র রবিউল হোসেনকেও সহযোগি হিসেবে কাজে লাগায়। তারা সরকারি নিয়োগ প্রাপ্ত না হলেও আদালতে উমেদার হিসেবে পরিচিত। মামলার নথি দেখাশুনা করা, অর্ডার শীট লেখার কাজ তারাই করে। তাদের মধ্যে দায়বদ্ধতা না থাকার কারনে মামলার গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে বাদী বিবাদী ঝুঁকির মধ্যে থাকে। এদিকে ২০২২ সালে পটিয়া যুগ্ন জেলা জজ আদালতে নাজমুল হোসেন চৌধুরী যুগ্ম জেলা জজ হিসেবে যোগ দেন। এর মধ্যে পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট হিসেবে যোগ দেন যুগ্ম জেলা জজের স্ত্রী তাররাহুম আহাম্মেদ।
“জজ ম্যাজিষ্টেট” স্বামী-স্ত্রী দুজনের বাসায় পারিবারিক কাজকর্ম করে দেন এই ৩ ভাই। এ সুযোগে গোবিন্দারখীল এলাকার খোরশেদ আলম পরিবারের ৩ শতক জায়গায় দখলে নেওয়ার উদ্দেশ্যে ২০২৩ সালে সি,আর ৩৫৭/২৩ মামলা ও আদালতে ৮২/২২ মামলা দায়ের করে। এছাড়া থানায় জিডি এন্ট্রি করে খোরশেদ পরিবারকে হয়রানি করে। সর্বশেষ গত ১০ সেপ্টেম্বর খোরশেদ পরিবারের লোকজন মামলায় হাজিরা দিতে এসে দেখে কয়েকজন টিভি সাংবাদিক নজরুল ইসলাম শওকত সহ ৩ ভাইয়ের অপকর্মের ব্যাপারে লোকজন থেকে সাক্ষাতকার নিচ্ছে।
এ অবস্থায় খোরশেদ আলম টিভি সাংবাদিকদের তাদের বিষয়ে সাক্ষাতকার দিলে শওকত ক্ষিপ্ত হয়ে আদালতের সুযোগ নিয়ে পটিয়া থানায় খোরশেদ সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গত ১২ সেপ্টেম্বর একটি মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করে। খোরশেদ আলম জানান, শওকত রেকর্ড রুমের আর,এস খতিয়ানের ফটোকপি ও খসড়া কপি বিক্রয় করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এভাবে শওকত, সাজ্জাদ ও রবিউল প্রতিদিন আদালত থেকে অবৈধ পন্থায় লোকজন থেকে ৩০/৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে এখন কোটিপতি। বিচারপ্রার্থী ও এলাকার লোকজনের বৃহত্তর স্বার্থে এই ৩ ভাইকে আদালত থেকে অপসারণের জন্য বিচার বিভাগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী।