এম আবু হেনা সাগর,ঈদগাঁও (কক্সবাজার)
কক্সবাজার ঈদগাঁওতে দীর্ঘবছর ধরে ফায়ার সার্ভিস স্থাপনের দাবী উপেক্ষিত রয়েছে। প্রতিবছরই লাখ লাখ টাকার সম্পদ পুড়ে অঙ্গার হয়ে যায়।
৩৩ কিলোমিটার দূরবর্তী রামু, কক্সবাজার বা চকরিয়া থেকে দমকল বাহিনী আসার আগে অগ্নিকান্ড কবলিত স্থান পুড়ে ছারখার হয়ে যায়। কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার আওতাধীন পাঁচটি ইউনিয়নের বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করে এলাকাতে ফায়ার সার্ভিস স্থাপনের দাবী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি। কোন না কোন স্থানে অগ্নিকান্ডের ভয়াবহ থাবায় লাখ লাখ টাকার সম্পদ পুড়ে মাটি হয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, পোকখালী,জালালাবাদ,ইসলামাবাদ ইসলামপুর ও ঈদগাঁও ইউনিয়নের প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলে বসতবাড়ী,দোকানপাঠসহ অন্যান্য জিনিসপত্র অগ্নিকান্ডে ধংস হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিস বাস্তবায়নে জন্য দীর্ঘকাল ধরে বিশাল জনগোষ্টি আন্দোলন সংগ্রাম করেও এখনো কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ঈদগাঁওবাসীর স্বপ্ন যেন স্বপ্নে থেমে গেল। হতাশ হয়ে পড়েন এলাকাবাসী।
দক্ষিন চট্রলার বৃহৎ বানিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারসহ কোন না কোন এলাকায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলেই দূরর্বতী থেকে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব নয়। সেখান থেকে আসতে না আসতেই সবকিছু পুড়ে অঙ্গার হয়ে যায়। বিগত দিনগুলোতে অসংখ্য পরিবার অগ্নিকান্ডে সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন। ঈদগাঁও বাজারে জনগুরুত্বপূর্ণ ব্যাংক,বীমা, দোকানপাঠ, ঘরবাড়ী ও জনবসতি বেশী হওয়ার পরেও অদ্যবধি পর্যন্ত অগ্নি নিবার্পনে ফায়ার সার্ভিস স্থাপনে আলোর মুখ দেখেননি।
সবদিক বিবেচনায় ফায়ার সার্ভিস স্থাপন জরুরী বলে মনে করেন সরকারী নিবন্ধিত সামাজিক প্লাটফর্ম ঈদগাঁও যুব ঐক্য পরিবারের নেতৃবৃন্দরা। অগ্নি দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে দমকল বাহিনীর বিকল্প নেই। সামাজিক সংগঠনের দায়িত্বশীল রেহেনা আকতার কাজল ও মামুনর রশিদ রিয়াদ জানান,বৃহত্তর এলাকার জনসংখ্যার কথা চিন্তা করে ফায়ার সার্ভিসের দাবীদার ঈদগাঁওবাসী।
ব্যবসায়ী ছৈয়দ করিম জানান, ঈদগাঁও বাজারে প্রায় ৫ হাজারের মত ব্যবসা প্রতিষ্টানসহ বৃহত্তর এলাকার বিপুল সংখ্যক লোকজন ও ঘরবাড়ীর কথা মাথায় রেখে যদি একটি দমকল বাহিনী স্থাপন করা যায়, তাহলে এলাকাবাসী উপকৃত হতো। ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে আলাদা উপজেলাসহ থানা করা হয়। ফায়ার সার্ভিসও স্থাপন করা হলে,উপকৃত হবে জনগন।