মৃত্যুর পরও বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রচলিত বন্ধ হওয়া ভাতা আর ফিরে পেলেন না, হাইকোর্টের আদেশও কার্যকর হচ্ছেনা

স্টাফ রিপোর্টার

মৃত্যুর পরও বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রচলিত বন্ধ হওয়া ভাতা আর ফিরে পেলেন না সকল দপ্তরে আশ্বাস দেওয়ার পরও ভাতা গেজেট বন্ধ হয়ে আছে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মৃত মিজানুল করিম খন্দকার বীর মুক্তিযোদ্ধা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ডাকে ১৯৭১সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন জীবনের মায়া ত্যাগ করে পরিবারের সদস্যদের ছেড়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান উপহার।

কিন্তু দূঃসংবাদ হলো জুন, ২০১২ ভাতা চালু হয় অক্টোবর, ২০২০ ভাতা বন্ধ হয়ে যায় এবিষয়ে মুক্তিযুদ্ধা বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেও তার কোনো সুরাহা খুঁজে পাচ্ছে না। * প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষরিত মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট আছে। * মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে ২ বছর সরকারি চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি হয়েছিল। * ২০১৪ সালে গ্যাজেটের জন্য আবেদন ছিল, ডি জি মহোদয় স্বাক্ষরিত। ভাতা বন্ধের পরে হাই কোর্ট থেকে ভাতা চালু এবং গ্যাজেটের জন্য আদেশ করা হয়েছিল মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুল করিম খন্দকার এর স্ত্রী জানান আমার স্বামী মুক্তিযুদ্ধা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হিসাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন একজন মুক্তিযোদ্ধার শেষ ইচ্ছাটা যেন তিনি পূরণ করেন। আমার স্বামী ঙ্গবন্ধুর ডাকে দেশ স্বাধীনের জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। ছেলে তুহিন ও তুষার জানান ১৭/০২/২০২২ ইং এ আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুল করিম খন্দকার মহা পরিচালক জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বরাবর আবেদন করেন। আরও জানান আমার বাবা বিগত ২/৪/১৪ইং মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের বরাবরে গেজেট ভুক্তির জন্য একখানা সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রমাণসহ আবেদন পেশ করে। তন্মধ্যে মন্ত্রণালয় কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চাকুরী দুই বছর বৃদ্ধি করে।

গেজেটের জন্য সকল দপ্তরের যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য বাবা ২০০৮ সালে স্টক করায় শারীরিকভাবে প্যারালাইজড হয়ে যায় বাধ্য হয়ে বাবা গেজেটের জন্য মহামান্য হাইকোর্টে রিট আবেদন করে। গেজেট প্রদানের নির্দেশ প্রদান করেন মহামান্য হাইকোর্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুল করিম খন্দকার, পিতা মৃত আব্দুর রহমান, মাতা মৃত হাজেরা খাতুন, গ্রাম ও পোস্ট সুহিলপুর হাড়ীয়া, থানা বি বাড়ীয়া, জেলা বি বাড়ীয়া। সন্তানেরা আরও জানান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কতৃক স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল সনদ পত্র নং ০৮৬৪৪ এপ্রিল ১৯৯৯ইং।

মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে চাকুরির মেয়াদ বৃদ্ধি, সরকারি সুযোগ সুবিধা পেয়েছেন বাবা, মৃত্যুর পরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অফ অনার দিয়ে দাফন সম্পন্ন করা হয়। আমাদের দাবি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে বাবার দেওয়া সনদপত্র নং ৪৮.০২.০০০০.০০১.৩১.০৫১.১২.৭০- তারিখ ২১শে নভেম্বর ২০২১ইং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কন্যা গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সদয় অবগতি হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আবেদন করছি।

Leave a Reply