সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরা জেলা তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার সরুলিয়া ইউনিয়নের কাশিপুর হাই স্কুলের সহকারি শিক্ষক মিহির বিশ্বাস বিরুদ্ধে সরকারি নিষিদ্ধ থাকলেও অবৈধভাবে জননী নামে লাইব্রেরী খুলে নোট বই বিক্রি করার অভিযোগ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকার শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের জন্য যুক্ত করেছেন সৃজনশীল পদ্ধতি । একই সাথে দেশের সর্বোচ্চ আদালত অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত নোট ও গাইড বই বিপনন,প্রদর্শন ,প্রস্তুতকরণ ও প্রকাশনা নিষিদ্ধ করলেও এ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পাটকেলঘাটার জননী লাইব্রেরির মালিক মিহির বিশ্বাস নিষিদ্ধ ঘোষিত নোট ও গাইড বই অবৈধভাবে বিক্রি করে আসছেন দীর্ঘদিন যাবত।
এছাড়াও জননী লাইব্রেরীর মালিক মিহির বিশ্বাস বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টারের পরিচালক ও শ্রেণী শিক্ষকদের লোভনীয় কমিশন ও অনুদান দিয়ে ম্যানেজ করে এসব নোট ও গাইড বই বিক্রি করছে।
সরকার ঘোষিত ১৯৮০ সালে এক প্রজ্ঞাপনে নোট ও গাইড বই প্রকাশনা, আমদানি, সংরক্ষণ, ও বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে। সেই সাথে নিষিদ্ধ আইনে ৭ বছরের জেল বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিতের বিধান থাকলেও তা মানছেন না জননী লাইব্রারি মালিক মিহির বিশ্বাস এছাড়াও ২০০৮ সালে এক নির্বাহী আদেশে নোট ও গাইড বই নিষিদ্ধ করা হয়। স্থানীয় প্রশাসনের তদারকি ও নজরদারি না থাকায় অবাধে বিক্রি হচ্ছে পাটকেলঘাটা জননী লাইব্রারি সরকার নিষিদ্ধ নোট ও গাইড বই।
এ ব্যাপারে অভিভাবকরা বলেন সাতক্ষীরা জেলা তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার কাশিপুর হাই স্কুলের সহকারি শিক্ষক জননী লাইব্রারি মালিক মিহির বিশ্বাস আমাদেরকে নোট বই কেনার জন্য বলেন। কিন্তু, সরকার বিনামূল্যে বই দিলেও অনেক টাকা দিয়ে আমাদের নোট বইগুলো কিনতে হচ্ছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন ,প্রাইভেট কোচিং ছাড়া ছেলে মেয়েরা পড়ালেখা করতে চাচ্ছে না। অর্থের অভাবে প্রাইভেট কোচিং এ পড়াতে না পারায় বাধ্য হয়ে এই শিক্ষকের কথা মতন ছেলে মেয়েদের কিনে দিতে হচ্ছে নোট ও গাইড গুলো।
এদিকে নিষিদ্ধ ঘোষিত নোট ও গাইড বই বিক্রিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় জননী লাইব্রারি মালিক ও পাটকেলঘাটা থানার কাশিপুর হাই স্কুলের সহকারি শিক্ষক মিহির বিশ্বাস কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে অবাধে প্রতিনিয়তই নোট ও গাইড বই বিক্রি করে আসছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে মিহির বিশ্বাস কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাদের জেলা সভাপতির কাছে আবেদন করা আছে আমাদের কাছে কিছু।