নিজস্ব প্রতিবেদক
সারাদেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর দেশ সংস্কারের জন্য উপদেষ্টারা সর্বমহলের সমন্বয়ে যখন কাজ করছে, তখন কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছেন, মনে করছেন প্রশাসন কোন অপরাধের দিকে নজর দিবে না, তাই এখনই সুযোগ ইচ্ছেমতো বৈধ অথবা অবৈধ যেটাই হোক সেটা দেখার বিষয় নয়, বিষয় একটাই টাকা কামানো, সেই পথকে অবলম্বন করে গাজীপুরের বোর্ডবাজার সংলগ্ন মির্জাপুর সিএনজি ফিলিং স্টেশনে চলছে অবৈধ পথ অবলম্বন করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার বিভিন্ন কলা কৌশল, সরকারি নির্দেশনা রয়েছে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত সকল সিএনজি পাম্প বন্ধ থাকবে, এই সময়ের মধ্য কোন গাড়িতে গ্যাস দেয়া যাবে না।
কারণ হিসেবে জানা যায় আবাসিক এলাকায় এই সময়টাতে রান্নাবান্নার কাজে ঠিক ভাবে গ্যাস সরবরাহ করার জন্য এই নির্দেশনা দেয়া হয়, সরকারের নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে সন্ধ্যা ৬টার পরেও গ্যাস সরবরাহ করে থাকে মির্জাপুর সিএনজি ফিলিং স্টেশনটি, এছাড়াও পাম্পটির বিরুদ্ধে অন্যান্য পাম্পের চেয়ে লিটারে দুই টাকা বেশি নেয়ার অভিযোগ রয়েছে, পাম্পটির মিটারে ৪৩ টাকা দর উল্লেখ থাকলেও অনেক গ্রাহকের কাছ থেকে ৪৫ টাকা নেয়া হয়,মির্জাপুর ফিলিং স্টেশন একজন কর্মকর্তা বলেন তিতাস এসব বিষয়ে জানে, বিষয়টি গাজীপুর তিতাস অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রাজিব কুমার সাহাকে অবহিত করলে অভিযুক্ত সিএনজি ফিলিং স্টেশন এর বিরুদ্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।
পরবর্তীতে এসব অভিযোগের বিষয়ে তদন্তে আসেন তিতাসের কর্মকর্তারা, তিতাস অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান আল ফয়সালের নেতৃত্বে অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা পেয়ে সাময়িকভাবে মির্জাপুর সিএনজি ফিলিং স্টেশন কে বন্ধ ঘোষণা করেন, তিনি আরো বলেন এই নির্দেশনা কে অমান্য করে মিজাপুর সিএনজি ফিলিং স্টেশন কোন ধরনের কার্যক্রম করলে আমরা আরো কঠিনতর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।