নিজস্ব প্রতিবেদক
মিরপুরের ১ নম্বর সুপার মার্কেটে চুক্তিপত্রের মাধ্যমে ফ্লোর ভাড়া নিলেও কখনো দখলে যেতে পারেননি তেরেজা পার্লারের মালিক শরিফ খন্দকার বাবু । তিনি ২০১২ সালে ওই ফ্লোরটি ভাড়া নেন ভবন মালিকের কাছ থেকে।
বিগত স্বৈরশাসক আমলে সরকার দলীয় নেতা ও তাদের পোষ্য সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ফ্লোর দখল করে রেখেছিল, তেমনি গুনতে হয়েছিল মাসিক চাঁদা ।
৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে বিজয়ের পরও থেমে নেই সে চক্র। তারা আবার নতুন রুপে,নতুন পরিচয়ে নতুনভাবে এসেছে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য । তারই অংশ হিসাবে সেই চক্র মিলে এশিয়ান টিভি সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এক লক্ষ টাকা দাবি করেছিল,নির্ধারিত টাকা দিতে না পারায় তার বিরুদ্ধে একটি অনলাইন দৈনিক ট্রাইব্যুনাল নামক পেজে একটি কল রেকর্ড ছাড়ে,যার কারণে
ব্যবসায়ীর ব্যক্তিগত মান সম্মান ও ব্যবসায়িক ক্ষতি হয়েছে মর্মে রোববার দুপুরে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি মো. শরিফ খন্দকার বাবু, তেরেজা বিউটি পার্লারের মালিক বর্তমানে আমার স্ত্রী পার্লার পরিচালনা করেন। আমি বিগত ২০১১ সাল থেকে সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করতেছি। ২০১৪ সালে সমিত ভবনের ষষ্ঠ তলা ক্রয় করি এবং তৃতীয় তলা ২০১৮ সাল থেকে ভাড়া নেই। মিরপুর এক নম্বর মিং বিউটি পার্লারের তিনজন মালিক, এর মধ্যে একজন মালিক আব্দুর রউফ তার পুত্রবধূ শারমিন শশী আমাকে ফোন দিয়ে বিভিন্ন সময় ময়লার টাকা দাবি করে, বিদ্যুৎ মিটারের ব্যাপারে অভিযোগ দেয়, পানি সংক্রান্ত ব্যাপারে অযৌক্তিক কথা, বিভিন্ন অপবাদ দেয়া ও আমাকে অকথ্য ভাষায় কথা বলা এবং আমার নির্মাণ কাজে বাধা সৃষ্টি করে থাকে।
উক্ত বিষয়টি সমাধান বিল্ডিং মালিক করে থাকেন । এমতাবস্থায় আমি বিউটি পার্লারের একজন মালিক আব্দুর রউফ এবং তার স্ত্রীকে বিষয়টি জানাই। তাদের কোন সহযোগিতা না পাওয়ার কারণে গত ২২ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মিরপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। সেই সময় মালিকপক্ষের পুত্রবধূ শারমিন শশী আমার পিছনে থানায় যায়,এবং আমাকে হুমকি দেয়। এর কয়েকদিন পরে ২৮ আগস্ট বিকাল পাঁচটায় সময় এশিয়ান টিভি রিপোর্টার পরিচয়ে জনৈক সিরাজুল ইসলাম নামে একজন সাংবাদিক আমাকে ফোন করে এবং হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও ফুটেজ পাঠায়,এবং আমাকে তার সঙ্গে দেখা করতে বলে।
আমি বিষয়টি জানতে চাইলে জৈনক সিরাজুল আমাকে তার অফিসে যেতে বলে আমি যেতে অসম্মতি জানাই এবং বলি আপনি আমার সাথে দেখা করেন। আমি তার সঙ্গে দেখা না করায় এবং তার অফিসে না যাওয়ায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণদিত ভাবে মনগড়া অডিও ক্লিপ ভিডিও বানিয়ে অনলাইনে ছেড়ে দেয় এবং সেনাবাহিনীর অফিসারদের জানিয়েছে বলে আমাকে হুমকি দেয়।
এক পর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে কবির নামে অন্য একজন সাংবাদিককে আমার কাছে পাঠায়। সাংবাদিক কবির আমাকে বলেন বলেন ১ লাখ টাকা না দিলে এশিয়ান টিভিতে সাংবাদিক সিরাজুল আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করবেন। আমি টাকা দিতে অসম্মতি জানালে ভিডিওটি ফেসবুকে ছেড়ে দেয়, ভিডিওতে দেখা যায় মিং বিউটি পার্লারের মালিক আব্দুর রউফ’র পুত্রবধূ শারমিন শশী আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকার উদ্দেশ্যে কথা বলেন এবং সংবাদ আকারে ডেইলি ট্রাইবুনাল নামীয় একটি পেইজে (ভিডিও)প্রকাশ করেন।
আমি এশিয়ান টিভি সাংবাদিক দাবি করা জনৈক সিরাজুল ইসলাম এবং হুমায়ুন কবির এবং শারমিন শশি গংদের আমার বিরুদ্ধে করা মিথ্যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ উপস্থাপনের জন্য তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি, এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং বিচারের আওতায় আনার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি। মিং বিউটি পার্লারের মালিক একজন আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী এবং শাহ আলীবাগ আওয়ামী লীগ নেতা হাজী সামসুল আলম এর সহযোগী।তারা সকলেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মার্কেটের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আরিফ, হোসেন মিয়া, মাসুদ মিয়া, লেবু মিয়া, বাবু মিয়া, জাহাঙ্গীর আলম, পারভেজ, আব্দুল আলিম, ওয়াহিদ, আলম ও কামরুল ইসলাম।এছাড়ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ইমরান সুজন, শামীম রিয়া মাহিন ইসলাম, শিশির আহমেদ, নাহিদুল ইসলাম জীবন, তাহমিদ আনাফ, শাহরিয়ার রাফি,অভি ও শফি প্রমুখ।