মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার নেহালপুর পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই হান্নান ও এএসআই শরিফ এর যোগসাজশে গোপনে ঘেরমালিকের কাছে মুরগির বিষ্ঠা লাখ টাকায় বিক্রি করে লোপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, গত ২২ আগষ্ট বৃহস্পতিবার ভোরে নওয়াপাড়া- কালীবাড়ি রোড হাটগাছা এলাকার স্থানীয় জনগণ অবৈধ মুরগীর বিষ্ঠা বোঝাই একটি ট্রাক আটক করে যার নং ঢাকা মেট্রো ট- ১৪-৭৪২০।
পরে খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য বিদ্যুৎ বৈরাগী ঘটনাস্থলে গিয়ে মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করেন, নির্বাহী কর্মকর্তা তাৎক্ষনিক নেহালপুর পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মৌখিক নির্দেশ দেন এবং ইউপি সদস্য বিদ্যুৎ কে বিষয়টি সমাধান করতে বলেন। কিন্তু কতিপয় স্থানীয় ঘের ব্যবসায়ী আজাহারের সাথে এএসআই শরিফ ও এসআই হান্নান গোপনে যোগাযোগ করে গত ২২ আগষ্ট রাতে ওই ঘের মালিকের ঘেরে অবৈধ মুরগির বিষ্ঠা ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়।
অন্যদিকে গাড়ির মালিকের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা ঘুস নিয়ে গাড়িটি ছেড়ে দেন বলে স্থানীয় একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন। এবিষয়ে কুলটিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বিদুৎ বৈরাগী বলেন, নির্বাহী কর্মকর্তা অবৈধ মুরগীর বিষ্ঠা লোক লাগিয়ে মাটির নিচে পুঁতে রাখার দায়িত্ব আমাকে দিয়েছিল কিন্তু ক্যাম্প পুলিশ আমার অগোচরে ঘের মালিক আজাহারের সাথে গোপনে যোগাযোগ করে অবৈধ মুরগীর বিষ্ঠা ঘেরে ফেলেছে।
ওই ঘেরের মাছ তো স্থানীয় সাধারণ মানুষই খাবে। আমি এই ঘটনার তদন্ত পূর্বক আইনগত পদক্ষেপ নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এ ব্যাপারে অবৈধ মুরগীর বিষ্ঠা গাড়ি ধরে ঘেরে দেওয়া ঘের মালিক আজাহার জানান, পুলিশ ও স্থানীয় দুই যুবক আমার কাছে একপ্রকার জোর করে ওই মুরগীর বিষ্ঠা বিক্রি করেছে, এখন আমার ঘেরের মাছ মারা যাচ্ছে, আমি খুব বিপদে আছি। এবিষয়ে নেহালপুর পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই শরিফুলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
নেহালপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই হান্নান ঘটনা স্বীকার করে বলেন, একটি ঘটনা ঘটে গেছে, আপনি ক্যাম্পে আসুন, আলোচনা স্বাপেক্ষে সমাধান করবো, না হলে নিউজ করে দিন, আমাদের চাকরি যাবে না, বড়জোর সাসপেন্ড করবে। এবিষয়ে মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদী মাসুদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।