স্টাফ রিপোর্টার্সঃ
ঘুমের ইনজেকশন জি-ডায়াজিপামকে চেতনানাশক জি-পেথিডিন ইনজেকশনে রূপান্তরিত করা অসাধু চক্রের ৩ জন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা-মতিঝিল বিভাগ। এ সময় ভেজাল চেতনানাশক ইনজেকশন তৈরির উপকরণ ও ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো মোঃ আলমগীর খাঁন, মোঃ মাসুদ রানা ও মোঃ আহসান হাবীব শাওন। গতকাল সোমবার বিকালে মতিঝিল থানার টিঅ্যান্ডটি কলোনি ও ভাটারার নদ্দা এলাকায় ধারাবাহিক অভিযানে তাদেরকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিম। অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ এরশাদুর রহমান ডিএমপি নিউজকে জানান, দুইজন লোক মতিঝিল থানার টিঅ্যান্ডটি কলোনির মসজিদ গেটের পাশের যাত্রী ছাউনীর সামনে ভেজাল জি-পেথিডিন নিয়ে অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় আলমগীর ও মাসুদকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে জি-পেথিডিনের ৪০টি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভাটারার নদ্দা এলাকা হতে আহসান হাবীবকে গ্রেফতার করা হয়। আহসান হাবীব পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে, সে গ্রেফতারকৃত মাসুদ রানার কাছ থেকে নকল জি-পেথিডিন সংগ্রহ করে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করতো। সহকারী পুলিশ কমিশনার আরো বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আলমগীর স্বীকার করেছে, উত্তর যাত্রাবাড়ীর একটি বাসায় সে নকল জি-পেথিডিন ইনজেকশন তৈরি করে।
তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে উত্তর যাত্রাবাড়ীর ফারুক রোডের সে বাসায় অভিযান চালিয়ে জি-পেথিডিন ইনজেকশন ২০০ পিস, জি-পেথিডিনের এ্যাম্পুল ২২০ পিস, জি-ডায়াজিপামের এ্যাম্পুল ১০১০ পিস, জি-পেথিডিনের খালী বক্স ৫২০ পিস, জি-পেথিডিনের স্টিকার ২০০ পিস, জি-পেথিডিন ফয়েল পেপার ২ রোল, জি-পেথিডিনের ব্যাবহারবিধি ১,৫০০ পিস, জি-পেথিডিনের ফয়েল লাগানোর মেশিন ১টি, ৫ কেজি এসিড, ৫টি স্কিন প্রিন্ট করার ফ্রেম ও জি-পেথিডিন রাখার প্লাস্টিকের ট্রে ২৫০ পিস উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা রুজু হয়েছে।