নাজমুল আলম মুন্না, সাতক্ষীরাঃ
সাতক্ষীরায় ১টি মাদ্রাসা ও ১টি কলেজে আকস্মিক পরিদর্শনে যান সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ। ১১ নভেম্বর সোমবার ১.৩০ মিনিটে সদরের ঝাউডাঙ্গা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় আকস্মিক পরিদর্শনে গেলে সেখানে কোন শিক্ষক ও ছাত্র- ছাত্রীকে পাওয়া যায়নি। অফিসে শুধু মাত্র একজন অফিস স্টাফ ও মাদ্রাসা মাঠে কয়েকজনকে খেলাধুলা করতে দেখা যায়।
তাদের কাছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা কোথায় জানতে চাইলে তারা মাদ্রাসা ছুটি হওয়ার কথা জানান। এসময় পরিদর্শন খাতা মাদ্রাসা সুপারের কাছে থাকায় জেলা প্রশাসক পরিদর্শন খাতায় মন্তব্য লিখতে পারেননি। পরে তিনি হাজিরা খাতায় পরিদর্শন মন্তব্য লিপিবদ্ধ করে মাদ্রাসা ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে তিনি বিনের পোতায় অবস্থিত এ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান কলেজ পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি হাজিরা খাতা পরিক্ষান্তে বেশ কয়েকজন শিক্ষককে বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত দেখতে পান।
এছাড়া ক্লাস রুটিন মোতাবেক কোন শ্রেনীতে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল না এবং কোন শ্রেনী কক্ষে কাঙ্খিত ছাত্রছাত্রীকে দেখতে পাননি। এ বিষয়ে কলেজে উপস্থিত শিক্ষকগণ সন্তোষজনক কোন জবাবও দিতে পারেনি।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমন দুরাবস্থা দেখে জেলা প্রশাসক চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন জানান শিক্ষকদের মধ্যে এহেন কার্যক্রম দায়িত্বহীনতা ও কর্তব্যকর্মের চরম অবহেলার সামিল। এতে প্রকৃত পক্ষে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার যেমন কোন উন্নতি হচ্ছেনা তেমনি শিক্ষার প্রসারও মারাত্মক ভাবে বাধাগ্রস্থ্য হচ্ছে। তিনি বলেন মাসে মাসে শিক্ষকদের বেতন ভাতাদি প্রদানের মাধ্যমে সরকারি অর্থের চরম অপচয় হচ্ছে মর্মে তিনি মনে করেন। এরুপ পরিস্থিতি চলতে থাকলে প্রকৃত অর্থে শিক্ষার সুফল থেকে জাতি বঞ্চিত হবে।
সার্বিক বিষয় উল্লেখ করে এমন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সুপারিশ করবেন বলে জানান জেলা প্রশাসক।