অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ার অঙ্গীকার ,পাঠদানে ব্যহত হচ্ছে হাছলা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

সৈয়দ সময় , নেত্রকোনা :

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে হাছলা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে স্থায়ী সমাধানের পরিবেশ করে এবং পাঠদানের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে সাধারণ শিক্ষার্থী ,
অভিভাবক ও এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের
দায়িত্বশীল সুদৃষ্টি কামনা করছেন ।

বিগত ২৭আগস্ট ২০২৪ দুপুরে মোহনগঞ্জ উপজেলা চত্বরে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক তায়জুল ইসলামের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায়বিচারসহ পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থী অভিভাবক ও এলাকাবাসী মানব বন্ধন কর্মসূচী পালন করে ।


বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে ,১৯৯৮ সালে মোহনগঞ্জ উপজেলার হাছলা গ্রামে এক একর ২৫ শতাংশ জায়গার উপর হাছলা উচ্চ বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয় ।এর জমি দাতা ও প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক তায়জুল ইসলাম ।
২০০৪ সালে বিদ্যালয়টি এমপিও.ভূক্ত হয় ।
স্কুলে একটি চারতলা ভবন , একটি হাফ বিল্ডিং ঘর রয়েছে । ১২ জন শিক্ষক ও ৭ জন কর্মচারী নিয়ে ৩৮৭ শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা পাঠদান ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে । প্রধান শিক্ষক নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি তে ব্যহত হচ্ছে পাঠদান শিক্ষার্থীরা চায় অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত বিদ্যালয় ।


একান্ত মারফত জানা যায় , প্রধান শিক্ষক তায়জুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষক বজলুর রহমান ঠাকুর এর মাঝে দ্বন্দ্বের কারণে এবং তায়জুল ইসলামের অনিয়ম ও দুর্নীতির জন্য প্রধান শিক্ষক অপসারণের দাবি তুলে মানব বন্ধন কর্মসূচী পালন করে ছাত্র অভিভাবক সহ এলাকাবাসী । অন্যান্য শিক্ষকদের কোন প্রকার সুযোগ সুবিধা দিতেন না , কথা বলতেও পারতো না । এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে শোনা যায় তায়জুলের
ভাগ্নে দুই টি ঘর ভাড়া ছাড়া ব্যবহার করে। তৃতীয় তলায় বিছানা করে রাত্রি যাপন করে ।
এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ১০ টি অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজওয়ানা কবীর
সহকারী শিক্ষক বজলুর রহমান ঠাকুর কে
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এর দায়িত্ব প্রদান করেন । মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগের ফটোকপি ও ভিডিও সাক্ষাৎকার প্রদান করে সাংবাদিকদের এই অভিযোগের কথা বলেন ।এ রকম পরিস্থিতিতে তায়জুল ইসলাম সাথে তার বিরুদ্ধে ২০ টি অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে সুনির্দিষ্ট জবাব না দিয়ে তিনি বলেন , আমি বিদ্যালয়ের জমিদাতা ও প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক । রাজনৈতিক অস্থিরতায় কারণে আমার নামে অহেতুক মিথ্যা অভিযোগ করেছেন যা তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা বেড়িয়ে আসবে ।


ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমান ঠাকুর জানান , এতদিন আমরা কিছু বলতে পারি নাই । প্রভাবশালী মহলের চাপে কিছু বলতে পারিনি ।তার অনিয়ম ও দুর্নীতিতে অতিষ্ঠ হয়ে শিক্ষার্থী , অভিভাবক ও এলাকাবাসী এই অভিযোগ করেন । এরি মাঝে উপজেলা ভূমি অফিসার সরেজমিনে তদন্ত করে তায়জুল ইসলামের মেয়ে আইসিটি শিক্ষিকা তানজিলা আক্তার তানিয়ার বেতন উত্তোলনের স্বাক্ষর মিল নেই বলে জাল স্বাক্ষর হিসেবে রায় ঘোষণা করেন ।

এবং
১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ রবিবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমান ঠাকুর কে
অফিসিয়ালি সকল দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে তায়জুল ইসলাম কে নির্দেশ দেন ।
সরেজমিনে দেখা যায় , স্কুলের মাঠে অসমতল খানাখন্দ , সীমানা দেয়াল নেই ,
আইসিটি ক্লাসের ১১ কম্পিউটারের মাঝে
মাত্র ০১ টি রয়েছে তাও অকেজো ।


অভিভাবক সাদেক মিয়া , জহিরুল ইসলাম কাঞ্চন , নাজমুন নাহার, জহির মিয়া , আনিসুর রহমান , মিজানুর রহমান ও আবু হানিফা সহ কয়েকজন শিক্ষক তায়জুল ইসলামের নামে প্রধান শিক্ষক পদ থেকে অপসারণ, দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান ।

Leave a Reply