
নিজস্ব প্রতিবেদক :-
টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকার দাড়াইলের কুখ্যাত সন্ত্রাসী খোকন বর্তমানে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে এলাকায় বেপরোয়া তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ছাত্র হত্যা মামলার আসামি এই খোকনের বিরুদ্ধে রয়েছে অপহরণ, গুম, খুন, চাঁদাবাজি, মাদক ও অস্ত্র আইনে প্রায় দুই ডজনের বেশি মামলা।
❝সন্ত্রাস, গুলি, অপহরণ, মাদকের এক ‘খোকন-যুগ’❞
খোকন এক সময় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় থেকে টঙ্গীতে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। এস অ্যান্ড পি বাংলা লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানার অফিসার অপহরণের ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হলেও, প্রভাব খাটিয়ে দ্রুত মুক্তি পায়।
চলতি বছরের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সে গুলি চালিয়ে একজন ছাত্রকে হত্যা করে বলে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরপরই ৫ আগস্ট খোকন নাটকীয়ভাবে ভোল পাল্টিয়ে বিএনপিতে যোগ দেয় বলে জানা গেছে।
❝বিএনপি নির্দেশনা দিতেই শুরু অপপ্রচার❞
সম্প্রতি টঙ্গী পশ্চিম থানা বিএনপি এক লিখিত নোটিশ দিয়ে তাকে দলীয় সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়। এরপর থেকেই খোকন বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, ষড়যন্ত্র এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে দলকে বিভ্রান্ত করতে শুরু করে।
তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে, যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীরা।
❝কারখানা দখল, কিশোর গ্যাং, সিন্ডিকেট—সব নিয়ন্ত্রণে খোকন বাহিনী❞
অভিযোগ রয়েছে, বিএনপির একজন সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মোঃ নাসির উদ্দীনের আশ্রয়ে খোকন গড়ে তুলেছে কারখানা দখল সিন্ডিকেট এবং পরিচালনা করছে কিশোর গ্যাং। তার বোনজামাই নাজমুল ও অন্য সহযোগীদের নিয়ে খোকন এখন জুট ব্যবসা থেকে শুরু করে শিল্প এলাকার নানা অপকর্মের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
৫২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি ইউনুস আলী, বর্তমান সভাপতি ইদ্রিস শরীফ এবং সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম এক বিবৃতিতে জানান—
“খোকন কখনোই বিএনপির কর্মী ছিল না। সে মূলত একজন অপরাধী। তার কর্মকাণ্ডে দলের বদনাম হচ্ছে।”
নিরীহ এলাকাবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও দলীয়ভাবে খোকনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ দাবি করেছেন।
“সরকার বদলেছে, কিন্তু খোকনের সন্ত্রাসী কর্মকা- বদলায়নি। বিএনপির নাম ব্যবহার করে সে এখন আরো ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে।”
ছবি: সন্ত্রাসী খোকন দাড়াইল – ছাত্র হত্যা মামলার অন্যতম আসামি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এখন বিএনপির নাম ব্যবহার করে সে চালাচ্ছে দাপট। এ বিষয়ে জানতে খোকনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান —01720018730
সম্পাদকীয় মন্তব্য:
যদি দলে অপরাধীদের অনুপ্রবেশ ঠেকানো না যায়, তবে গণতান্ত্রিক রাজনীতির ভবিষ্যৎ সংকটাপন্ন হবে। খোকনের মতো ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনাই সময়ের দাবি।