
ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
খেলাধুলা জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। স্বাস্থ্যের জন্য অতীব উপকারী। কিন্তু বিগত কয়টা বছরে গ্রামীন জনপদে খেলাধুলার প্রতি তরুণ প্রজন্মের আগ্রহটা দিন দিন কমছে। কারণ টার্চ মোবাইলের অবাদ ব্যবহার। ফোনে হরেক ধরনের গেম ও অ্যাপে তরুণদের দৃষ্টি ফিরিয়ে নিচ্ছে।
ফ্রী ফায়ার গেম, অনলাইন লুডু (জুয়া) ও অ্যাপে খেলার জন্য অনেকে ঘরে বসে থেকে সময় কাটায়। বেকারত্বে দিনপার করছে। ফলে খেলাধুলা থেকে মুখ ফিরিয়ে এখন মোবাইলে ঝুঁকছে। অন্যদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ীতে এসে মোবাইল নিয়ে বেরিয়ে পড়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বাহিরে অযথা সময় কাটিয়ে দেয়। লেখাপড়ার টেবিল থেকে মনোযোগ হারিয়ে মোবাইলের প্রতি আসক্তি হয়ে পড়েছে অনেক শিক্ষার্থী। যার ফলে স্কুলের পড়া যথাসময়ে বাড়ীতে আদায় করে নিতে পারছেনা অনেকে। ফলে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়াসহ ভবিষ্যত নিয়ে আশংকায় অভিভাবক মহল।
মোবাইলের কারনে খেলাধুলার প্রতি তরুণ প্রজন্মের আগ্রহ কমে যাওয়ার ফলে দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। অন্যদিকে পড়ালেখারও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মোবাইল যেমন যোগাযোগের ক্ষেত্রে অতি গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক তেমনি ক্ষতির কারণও বটে। উঠতি তরুণ ও যুবসমাজ বাজিমাতের মাধ্যমে নানান গেইম,লুড়ু খেলে অনেকাংশে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে বললে চলে। যার ফলে বেকারত্ব বৃদ্ধি পেয়ে পাড়া-মহল্লায় চুরির মতো কর্মকান্ড ঘটে চলছে প্রায়শ।
ঈদগাঁও উপজেলার প্রত্যান্ত গ্রামগঞ্জে ছড়িয়ে ছিড়িয়ে রয়েছে স্মার্ট মোবাইল। অল্প বয়সী থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়সের লোকজনের হাতেও এখন দামী মোবাইল ফোন। সকাল সন্ধ্যায় একদল যুবক মিলে অনলাইনে লুড়ু খেলায় ব্যস্ত। তাদের দেখাদেখি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উঠতি প্রজন্মের শিক্ষার্থীরাও সে পথে হাটছে। খোলামেলা জায়গা পেলেই বসে পড়ে।
খেলাধুলা মানুষকে দলগতভাবে কাজ করার শিক্ষা দেয়। এটি মানুষের মাঝে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা অর্জনে সাহায্য করে। সবই থেকে তরুন বা ছাত্রদেরকে বঞ্চিত করেছে একমাত্র মোবাইল। মোবাইল থেকে অসামাজিক কার্যকলাপ হতে বেরিয়ে এসে সঠিক পাঠদানে মনোনিবেশ হতে হবে। না হয় জীবন অন্ধকার।
প্রবীণ মুরব্বরী আহমদ হোসেনসহ কজন জানান, আগেকার দিনে তরুন ও যুবকরা পেশা কিংবা কর্মে মনোনিবেশ থাকতো। বর্তমান যুগে মোবাইলে আসক্তি হয়ে পড়ছে নানা খেলাধুলায়। এটি এক প্রকার অধঃপতনের লক্ষণ ছাড়া আর কি বা হতে পারে।