সুন্দরবন বন্দে অর্থনৈতিক ভোগান্তিতে জেলে- বাওয়ালিরা‌


জুলফিকার আলী জুয়েলঃ ‌

গত ১ জুন থেকে তিন মাস প্রজন্ম সময় বলে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসের জন্য সুন্দরবন বন্ধ ঘোষণা করছে বোন অধিদপ্তর। এতে করে চরম অর্থনৈতিক ভোগান্তিতে পড়ছেন সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল জেলে, বাওয়ালি ও মৌয়ালীরা।


মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, খুলনার কয়রা উপজেলায় সুন্দরবনের উপর প্রায় ৫০ হাজার পরিবার নির্ভরশীল।
উত্তর বেদকাশী পাথরখালী গ্রামের মোঃ রহমত আলী বলে, আমি সুন্দর বনে খালপাটা জালে মাছ ধরার মাধ্যমে সংসার চালাই। সুন্দরবন বন্ধ থাকায় সংসার চালাতে ও ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। বর্তমানে আমার সংসার চালাতে গিয়ে অন্যের কাছ থেকে ধার দেনা করে টাকা এনে চলতে হচ্ছে।


৬ নং কয়রা গড়িয়া বাড়ি গ্রামের সুপদ মন্ডল বলেন, সুন্দরবনে কাকড়া ধরে আমার সংসার চালাতে হয়। মাছের প্রজন্মের সময় বলে তিন মাস সুন্দরবন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আমরা তো কাকড়া ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে প্রায় ৩০/৩৫ বছর, কাকড়া ধরার বি, এল সি ও আছে। সুন্দর বনে মাছের প্রজননের মৌসম বলে যদি কাঁকড়া ধরাও বন্ধ রাখা হয় তাহলে কেন প্রতিবছর (দুই মাস) জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি মাসে কাকড়ার প্রজননের মৌসুম উল্লেখ করে সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরা নিষিদ্ধ করা হয়।


৫ নং কয়রা গ্রামের আরেক খাল পাটা জেলে মধুসূদন বলেন, বর্তমানে সংসার পরিবার পরিজন নিয়ে খারাপ অবস্থায় আছি, যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। সংসার চলছে অন্যের কাছ থেকে ধার দেনা করা টাকায়।


এছাড়াও আরো বেশ কয়েকজন জেলে সাথে কথা হলে তারা বলেন তিন মাস সময়টা আরো একটু কমিয়ে আনা যায় কিনা তা ভেবে চিন্তে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।

Leave a Reply