নিজস্ব প্রতিবেদক নাঃগঞ্জ:
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে চব্বিশ এর অর্জিত স্বাধীনতা কে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কে দুর্বল করার জন্য এখনো ষড়যন্ত্র করে চলছে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগি সংগঠন শ্রমিকলীগের কতিপয় সন্ত্রাসী।যারা বিগত দিন গুলোতে নিতাইগজ্ঞ ট্রাক স্টান্ড কে কেন্দ্র করে গড়ে তুলেছিল চাদাঁবাজি থেকে শুরু করে এক অপরাধ কর্মকান্ডের অভয়আরন্যে।
এই সন্ত্রাসী বাহিনী নারায়ণগঞ্জ শহরের অন্যতম বানিজ্যিক এলাকা নিতাইগজ্ঞ ট্রাক স্টান্ড থেকে বিভিন্ন উপায়ে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা চাদাঁ আদায় করতেন
তাদের নিয়ন্ত্রিত সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে
যার একটি অংশ পেতেন নাঃগঞ্জ শহরের মাফিয়া আজমেরি ওসমান এবং বাকি অংশ নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করার মাধ্যমেই চলতো তাদের এই চাদাঁবাজির মহাউৎসব ।
গত জুলাই ও আগস্টের ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে ৫ আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের কবল থেকে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ রেহাই পেয়েছে কিন্তূ এখন পর্যন্ত নিতাইগজ্ঞ ট্রাক স্টান্ড থেকে রেহাই পায়নি এই আওয়ামীলীগ শ্রমিকলীগের নেতা চাদাঁবাজ ও সন্ত্রাসী হত্যা মামলার আসামি মিঝু আহম্মেদ বাসেদ ও শহীদুল ইসলাম শহীদ গংদের কবল থেকে ।
ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের আগে এরা চাদাঁ আদায় করতেন শ্রমিকলীগের নেতা ও আজমীর ওসমানের লোক পরিচয় ব্যবহার করেই । সমগ্র বাংলাদেশে যখন ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের বিরুদ্ধে সাধারণ ছাত্র জনতা ওই বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের প্রতিবাদ হচ্ছে তার মাঝেও থেমে নেই নারায়ণগঞ্জ নিতাইগজ্ঞ বানিজ্যিক এলাকায় স্বৈরাচারের দোসর শ্রমিকলীগের নেতা মিঝু আহম্মেদ বাসেদ ও শহিদুল ইসলাম শহীদ গংদের চাদাঁবাজি ও দখল বানিজ্য। তাহলে এরা কোন শক্তির বলে এখনও তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড অব্যাহত রাখার সাহস দেখাচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রসাশন কে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে । বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন স্বৈরাচার সরকারের পতনের জন্য যখন ছাত্র জনতা এক দফা কর্মসূচি ঘোষনা করেন তখন এই শ্রমিকলীগের সন্ত্রাসী সহিদুল ইসলাম শহীদ তার নিজস্ব ফেসবুক একাউন্ট থেকে এক দফা কর্মসূচির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের পোষ্ট দিয়ে সাধারণ ছাত্রদের ভয় বিতি প্রদর্শন করছিলেন এমন কি ১৮ ই জুলাই নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সাধারণ ছাত্রদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছিলেন ।
সমগ্র বাংলাদেশে যখন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন চলমান ছিলো তখন নিতাইগজ্ঞ ট্রাক স্টান্ডে ও শহরের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ ছাত্রদের উপর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে এই শ্রমিকলীগের নেতা মিজু আহম্মেদ বাসেদ ও শহিদুল ইসলাম শহীদ গংরা।
নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় জুলাই আগস্টে নিহত পরিবারের সদস্যদের করা কোন মামলা তে এই চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের কোন ধরনের নাম উল্লেখ না করায় বেশ ক্ষুব্ধ হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক দলের সদস্যরা ।
তাদের দাবি অনতিবিলম্বে জুলাই ও আগস্টে নিহতের পরিবারের করা মামলায় ফ্যাসিস্ট হাসিনার শ্রমিকলীগের সকল পর্যায়ের নেতৃত্বাধীন সদস্যদের দ্রুত গ্রেফতার করে ছাত্র জনতার আন্দোলনের সঠিক মূল্যায়ন করা তার ব্যক্তয় গটলে প্রসাশনের বিরুদ্ধেও অবস্থান নিতে পস্তূত সাধারণ মানুষ।
আরো বলেন যারা সাধারণ ছাত্রদের ডাকা এক দফা কর্মসূচির বিরুদ্ধে বলেছিলেন এক দফারে কবর দে আওয়ামীলীগ রে খবর দে এই শ্লোগান তারা কিসের বলে এখন পর্যন্ত এলাকায় প্রকাশ্যেই ঘুরতে পারে যেখানে আওয়ামীলীগের হ্যাভী ওয়েট নেতাকর্মীরা গ্রেফতার হয়ে অনেকেই এখন রয়েছেন কারাগারে ।
অনতিবিলম্বে আওয়ামীলীগের সহযোগি সংগঠন শ্রমিক লীগের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য মিজু আহম্মেদ বাসেদ ও শহিদুল ইসলাম শহীদ গংদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার মাধ্যমে ছাত্র আন্দোলনে নিহতের আত্মার শান্তি ও নিহত সকল শহিদের নেয্য বিচার নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে ।