গাজীপুর কোনাবাড়ীতে আবাসিক হোটেলে চলছে নারী ও মাদকের রমরমা ব্যবসা

গাজীপুর প্রতিনিধি


মদ নারী তাস এই তিনই সর্বনাশ। গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল গুলোতে গড়ে উঠেছে নারী ব্যবসার ও মাদক সেবনের আখড়া। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোনাবাড়ীর টাঙ্গাইল গাজীপুর মহাসড়ক সংলগ্ন হোটেল নিউ মুন ফ্রেশ, হোটেল সানরাইজ, হোটেল হ্যাভেন ফ্রেস, হোটেল রেইনবো, এসব আবাসিক হোটেল কোনাবাড়ী এলাকায় গড়ে তুলেছেন মাদকের আখড়া।

কোনাবড়ীর এসব আবাসিক হোটেলের মালিক যারা হোটেল হ্যাভেন এর মালিক রাসেল ও তার স্ত্রী রেশমা, সানরাইজ এর মালিক তাপস ও শহিদুল ইসলাম, রেইনবো মালিক ইয়াসিন গাজী, হোটেল নিউ মুন ফ্রেশ এর মালিক………

মহাসড়কের পাশে অবস্থিত হোটেল হ্যাভেন মোহাম্মদ আলী প্লাজা, হোটেল সানরাইজ সরকার কমপ্লেক্স, হোটেল রেইনবো চান মিয়া মার্কেট, হোটেল নিউ মুন ফ্রেশ ইউসুফ প্লাজা। কোনাবাড়ীতে হোটেল রেইনবো, হোটেল হ্যাভেন, হোটেল সানরাইজ, নিউ মুন ফ্রেশ (আবাসিক) নামে এসব হোটেলেই চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ এবং মাদক সেবন যা কোনাবাড়ী এলাকার সামাজিক পরিবেশ নষ্ট করছে।
এক তথ্যসূত্রে জানা যায়,উল্লেখ্য হোটেল গুলোতে আবাসিক হোটেলে যৌনকর্মীদের দিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে খদ্দের এনে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ করে দেওয়া হয়। এছাড়াও বাইরে থেকে যদি কেউ মেয়ে নিয়ে হোটেলে যায়, তাহলে তাদের জন্য রুম ভাড়ার ব্যবস্থা করে দিয়ে থাকেন এসব হোটেলের স্টাফ, ম্যানেজাররা । যার ফলে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকার যুবক, স্কুল কলেজের উঠতি বয়সের ছেলেমেয়ে সহ গার্মেন্টস কর্মীদের ধংশের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে এলাকার সুশীল সমাজ আমাদের প্রতিবেদকের কাছে জানান।

উক্ত হোটেল গুলোতে মাদক সেবন ও অসামাজিক কার্যকলাপে কোন প্রকার বাধা দেওয়ার মত কেউ না থাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন রকম অপকর্ম। কোনাবাড়ীর মহাসড়কের পাশেই আবাসিক হোটেল কয়টি অবস্থিত হলেও প্রশাসনের নজরদারির অভাবে হোটেল মালিকেরা এমন ভাবে চলে যেন লাইসেন্স করা প্রতিষ্ঠান। আবাসিক হোটেলের দায়িত্বপ্রাপ্তরা বলে যে, আগে দেখবেন তারপর সার্ভিস নিবেন, এ যেন অনুমোদন প্রাপ্ত পতিতালয়। প্রশাসনিক ঝামেলা সম্পর্কে জানতে চাইলে আবাসিক হোটেলগুলোর কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রশাসন কে প্রতিমাসে মাশোহারা দিয়ে আমরা প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছি এবং হোটেল কর্তৃপক্ষ আরো বলেন যে, থানা পুলিশ কে টাকা না দিলে তো আর হোটেল ব্যবসা করতে পারতাম না।

কোনাবাড়ী মহাসড়কের নাম প্রকাশ না করা স্বর্তে ফুটপাত ব্যবসায়ী মার্কেট মালিক ও স্থানীয়রা বলেন এসব আবাসিক হোটেলের স্টাফরা রাস্তায় চলাচলকারী মানুষদের প্রকাশ্যে জিজ্ঞেস করেন যে যাবেন নাকি, সবরকম ব্যবস্থা আছে, আপনি যেমন করে যেভাবে বলবেন সেভাবেই পাবেন, কি লজ্জার বিষয় আপনাদেন কি করে বলবো? স্থানাীরা বলেন প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এলাকার যুবসমাজ, আশেপাশের স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা ও উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েরা বিপদগ্রস্ত হচ্ছে।

কোনাবাড়ীর এসব হোটেলেরে দালাল ও ম্যানেজাদের মুঠোফোনে ফোন করলে তার বলেন যখন আসবেন ফোন করে আসবেন, নাম না বলা শর্তে সানরাইজ হোটেলের একজন স্টাফ বলেন আপনি আসেন যখন খুশি তখন সবরকমের ব্যবস্থা আছে। হোটেল নিউ মুন এর ম্যানেজার জুয়েল কে জিজ্ঞেস কররে বলেন কাজকাম চলছে মোটামুটি পরিচয় জানতে পারলে ফোন কেটে দেয়।

এবিষয়ে জিএমপি কোনাবাড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ আমাদের প্রতিবেকদকে বলেন আমরা কয়েকদিন আগে অভিযান চালালেও কাউকে পাওয়া যায়নি, পুলিশকে টাকা দেওয়ার কথা বললে তিনি বলেন, কেউ যদি এধরণের কথা বলে থাকেন তা হলে ভুল বলেছেন। আমি এসব অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার, আপনি বললে এখনি অভিযান চালাবো, তিনি আরো বলেন আমরা মাদক কারবারি থেকে শুরু করে সবধরনের অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে কাজ করছি এবং করবো।

Leave a Reply