স্বপন কুমার রায় খুলনাজেলা প্রতিনিধি
খুলনার দাকোপের সাহেবের আবাদা শ্রীশ্রী কৃষ্ণের
৪৮ তম বর্ষীয় রাসমেলা মহাধুম ধাম ও উৎসব মূখর পরিবেশে শুভ সূচনা ১৫ নভেম্বর শুক্রবার। এলক্ষে ঐতিহ্যবাহী রাসখোলা প্রঙ্গনে ৬দিনব্যাপী নানা আয়োজনে রাস মেলা,পূজা ও পুণ্যস্নানের আয়োজন করেছে রাস খোলা পুজো উদযাপন কমিটি। শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে পুণ্যস্নানের মাধ্যমে এই রাস উৎসব শেষ হবে। এ লক্ষে দাকোপের সাহেবের আবাদ সার্বজনীন শ্রীশ্রী কৃষ্ণ রাস মন্দির আয়োজক কমিটি প্রতিবছরের ন্যায় ধর্মীয় আচারন সহ নানাবিধ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন।
এর মধ্যে ১৬ নভেম্বর কবিগান পরিবেশন করবেন রসিকলাল কবিদল খুলনা শ্রী শংকর সরকার বলাবুনিয়া, ও মানস সরকার খুলনা। ১৭ নভেম্বর রবিবার ধর্মীয় নৃত্য প্রতিযোগতিতা, প্রতিযোগিতায় মূলক পৃষ্ঠ প্রতিযোগিতায় মেঘা ইন্টার প্রাইজ প্রোপাইটার (সিনজেনটা) শ্যামল কুমার রায়।১৮ নভেম্বর সোমবার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ঝর্ণাধারায় দক্ষিণ বক্ষের আড়োলন সৃষ্টিকারী ফোক বাউল শিল্পী নিতু বালা সহ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারের শিল্পী বৃন্দ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার ধর্মীয় কির্তন যাত্রা পরিবেশন করবেন শ্রী গুরু নাট্য সংঘ ডুমুরিয়া খুলনা,২০ নভেম্বর বুধবার সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা রসৎসবের মিলন মেলায় ধর্ম যার যার উৎসব সবার ভজন ভক্তিগিতী ,বাউল সঙ্গীত ,ধর্মীয়সঙ্গীত,নৃত্যগিতী স্হীয় শিল্পী অতিথি শিল্পী
,বেতার ও টেলিভিশন শিল্পীদের নিয়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
রাস উৎসব নিয়ে নানা মত রয়েছে। ধারণা করা হয়, ১৯২৩ সালে ঠাকুর হরিচাঁদের অনুসারী হরিভজন নামে এক হিন্দু সাধু এই উৎসব শুরু করেন। এই সাধু ২৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে সুন্দরবনের গাছের ফল-মূল খেয়ে জীবনধারণ করতেন। তিনি হরিচাঁদ ঠাকুরের স্বপ্নাদৃষ্ট হয়ে পূজা-পার্বনাদি ও অনুষ্ঠান শুরু করেন দুবলারচরে। তারপর থেকেই এখানে মেলা বসেছে। লোকালয়ে এই মেলা নীলকমল মেলা নামে পরিচিত। অন্য মতে, হিন্দু ধর্মালম্বীদের অবতার শ্রীকৃষ্ণ কোনো এক পূর্ণিমা তিথিতে পাপমোচন এবং পুণ্যলাভে গঙ্গাস্নানের স্বপ্নাদেশ পান। সেই থেকে শুরু হয় রাস উৎসব। আবার কারো কারো মতে শারদীয় দুর্গোৎসবের পর পূর্ণিমা রাতে বৃন্দাবনবাসী গোপীদের সঙ্গে রাসনৃত্যে মেতেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ।
রাস আয়োজক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক রাধাকান্ত মন্ডল ও সাধারন সম্পাদক নৃপেন্দ্র নাথ রায় বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্হিতি সমন্নত রাখতে উপজেলা প্রশাসন সব রকম ব্যবস্হা গ্রহনের আশ্বাস প্রদান করেছেন।প্রতিবছরের মতো এবার ও ভক্তপ্রান মানুষের সমাগম হবে বলে তারা আশা পোষন করেন।