নিজস্ব প্রতিবেদক :-
রাজধানীর উত্তরায় আব্দুল্লাহপুর আকবর হোটেলের পাশে আল্লাহর দান বাংলা খাবার হোটেল নামে একটি খাবার হোটেলে দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ গ্যাস লাইন ব্যবহার করে রান্না করে খাবার বিক্রি করতেছে। হোটেলটি আওয়ামী লীগ নেতার হওয়ায় কেউ কোন কথা বলতে পারেনি তিতাস গ্যাস কর্মকর্তারাও নিরুপায় ছিলেন।
যদিও একবার কেটে দিয়েছিল ঠিকাদার রুবেলের মাধ্যমে পুনরায় সংযোগ করা হয় এবং আওয়ামীলীগ ক্ষমতার বলে চালাচ্ছেন এখনও।
বিষয়টি গণমাধ্যমের নজরে আসলে আকবর টাওয়ারের ম্যানেজার শিহাত সাহেবকে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি জানান একজন সংবাদকর্মীসহ ঠিকাদার রুবেলের মোটা অংকের টাকা নেওয়ার কথা জানান আল্লাহর দান বাংলা খাবার হোটেলে বড় বড় চুলা জ্বালানোর কারণে আশপাশের বাড়িগুলোতে ঠিকমতো গ্যাস পাচ্ছে না এমনই অভিযোগ করেন আশেপাশের কয়েকজন বাড়িওয়ালা।
আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে অবাধে গ্যাসের ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের খনিজ সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত হচ্ছে না এমনকি উক্ত খাতে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে মনে করেন সচেতন মহল।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে উক্ত হোটেলগুলোকে মোটা অংকের জরিমানা সহ আইনের আওতা আনায় প্রয়োজন। তারা অবৈধ গ্যাসের সংযোগ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন বলে জানা গেছে। যার ফলে প্রতিদিন প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার গ্যাসের ব্যবহার হচ্ছে।
এ ব্যাপারে একাধিক ব্যক্তি সাংবাদিকদের বলেন, অবৈধ গ্যাস বানিজ্যের সাথে যেখানে জনপ্রতিনিধিরাই জড়িত সেখানে প্রতিকারের কথা বলাও হাস্যকর। আব্দুল্লাহপুর ও উত্তরায় সর্বত্রই এখন অবৈধ গ্যাসের রমরমা বানিজ্য চলছে। এই অবৈধ গ্যাস সিন্ডিকেটদের স্বয়ং আওয়ামী স্বৈরশাসকরা সেল্টার দিচ্ছে।
এদিকে অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায় আল্লাহর দান বাংলা খাবার হোটেলে অনেক বড় বড় ৫ থেকে ৬ টি চুলা চলমান আছে হোটেলের ভিতরে তিনটি ও সামনে কয়েকটি লাইনে এই চুলা গুলো চলছে।
কেননা এই অবৈধ গ্যাস চোর চক্রের সাথে জড়িত তাদের ভাই কিংবা ভাতিজারা। প্রশাসন পদক্ষেপ নিলে উপড় মহল থেকে ফোন আসে তারা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। যে দেশে রক্ষকই ভক্ষক হয় সে দেশে কখনোই আইনের শাষন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। তবে প্রশাসন ও মিডিয়াকর্মীরা যদি সঠিকভাবে সমাজ ও দেশের জন্য কাজ করে এবং এ ক্ষেত্রে যদি জনপ্রতিনিধিরা একাত্বতা প্রকাশ করে তবেই সমাজ তথা দেশের উন্নয়ন সম্ভব। এ বিষয়টিকে আমলে নিয়ে এই অসাধূ প্রতিষ্ঠান আকবর টাওয়ার ও আল্লহর দান বাংলা খাবার হোটেলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে ভ্রাম্যমান আদালত ও তিতাসের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছে সচেতন মহল।