মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরের শিবচরে অবৈধ বালু ব্যবসায়ী নিয়ে প্রতিবেদন করায় দৈনিক আজকের দর্পনের মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি মীর ইমরানকে প্রাণ নাশের ও মামলার হুমকি দিয়েছে মোকলেছ হাওলাদার নামের এক বালু ব্যবসায়ী। এসময় তিনি বারবার নিজেকে বিএনপির বড় নেতা বলেও দাবী করেছেন।
সাংবাদিকদের নিউজ করতে বাধা ও হুমকির ঘটনায় সাংবাদিক মহলে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সংবাদটি প্রচারের পর প্রশাসনের নজরে আসলে উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে যৌথবাহিনী অভিযানের মাধ্যমে ৫টি বালুবাহী ট্রাক আটকসহ ৫০হাজার টাকা জরিমানা করেছে অভিযুক্ত বালু বাহী ট্রাকের মালিককে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ৩নভেম্বর দৈনিক আজকের দর্পন পত্রিকাসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন পোর্টালে “ইজারা নেয়া মহাল থেকে বালু পাচার” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রচার হয়। উক্ত প্রতিবেদন প্রচার করায় ক্ষিপ্ত হয়ে আজকের দর্পন পত্রিকার সাংবাদিক মীর ইমরানকে মুঠোফোনে প্রাণনাশের হুমকি ও অকথ্য ভাষায় গালাগালি এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন মোকলেছ হাওলাদার।
শিবচর উপজেলা বিএনপির নেতা সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী লাভলু লোক দাবি করেন ঐ অবৈধ বালু পাচারকারী মোকলেছ হাওলাদার এ বিষয়ে সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী লাভলুর কাছে মোকলেছ হাওলাদার তার দলীয় লোক কি না জানতে চাইলে লাভলু সিদ্দিকী বলেন মোকলেছ কখনো বিএনপির কোনো কমিও নয় সে বিএনপির নেতা হয় কি করে।
দলে তার কোন পদপদবি নেই সে আমার কাছে আসে তাই বলে কি সে অবৈধ কাজ করে আমার নাম ব্যবহার করতে পারে ।
আপনাদের সঠিক তথ্য দিয়ে সত্যি ঘটনা প্রকাশ করবেন সে যেই হোক আমি হলেও ছার দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
উল্লেখ্য,শিবচর উপজেলার নিলখী ইউনিয়নের কাওয়ারহাট নাম স্থানে আড়িয়াল খা নদের তীরে সরকারীভাবে ইজারাকৃত একটি বালু মহাল থেকে প্রতিদিন শত শত ট্রাকের মাধ্যমে বালু কেটে বিক্রি করছে মোকলেছ হাওলাদার ও তার ছোট ভাই বাচ্চু হাওলাদার। অন্যের বালু অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ট্রাকে্য মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করছে । পেশিশক্তির প্রভাব খাটিয়ে এবং বিএনপির নাম ভাঙিয়ে ওই বালু মহাল থেকে অবৈধভাবে বালু নিয়ে বিক্রি করছে মোকলেছ হাওলাদার ও তার বাহিনী এমন অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে ভাঙনরোধে আড়িয়াল খা নদ থেকে বালু খনন করা হয়। উপজেলার প্রায় ১৭টি স্থানে ঐ বালু মহাল রয়েছে। যা সরকারের মাধ্যমে ইজারার দিয়ে বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করা হয়। একটি চক্র ঐ মহাল থেকে চুরি করে অবৈধভাবে বালু বিক্রি করছে বলে জানা গেছে। মহালটিতে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার বালু রয়েছে বলে জানান উপজেলা প্রশাসন।
শিবচরে কর্মরত বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকরা জানান, একটি সত্য ঘটনার নিউজ করার কারনে সংবাদকর্মীদের সাথে এমন খারাপ আচরণ করা বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। একটা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করায় সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় যেভাবে গালাগালি করেছে এর একটা বিচার হওয়া দরকার। আমরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছি সাথে ঐ মোকলেছ হাওলাদার কে আইনের আওতায় আনার দাবি করছি ।
এ বিষয় সাংবাদিক মীর ইমরান জানান, মোকলেছ হাওলাদার নামের এক অবৈধ বালু ব্যবসায়ী আমাকে ফোন দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছে, আমার প্রাণনাশের ও মিথ্যা মামলার হুমকি দিয়েছে, এবং আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। এ বিষয় আমি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।