নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর জনবহুল ব্যস্ততম এলাকা গাবতলী টার্মিনালের পশ্চিম পাশে গরুরহাট সংলগ্ন স্থানে অবৈধ ভাবে ২টি পাবলিক নির্মান করেছে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী। গায়ের জোরে সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে এ দুটি টয়লেট নির্মান করা হয়েছে যা ডিএনসিসির কোন কর্মকর্তাই জানেন না। যা প্রায় তিন বছরেরও বেশী সময় ধরে চলছে পুরো দমে।
এ টয়লেট নির্মানের ক্ষেত্রে কোনো টেন্ডার বা দরপত্র হয়নি। এমন কি কোনোর পেশাদার ঠিকাদারকে জানানো হয়নি। এতে করে সরকারের রাজস্বের ক্ষতির পাশাপাশি স্থানীয় একটি মহল আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছেন। শুধু তাই নয়, পাবলিক টয়লেটের অজুহাতে ওই দুটি স্থাপনায় গড়ে উঠে বেশ কয়েকটি দোকান। এ টয়লেট চালাতে নেয়া হয়েছে অবৈধ পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ।
আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হলেও তাদের প্রেতাত্মারা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন বিভিন্ন সরকারী ও কর্পোরেট অফিসগুলাতে। এবিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন মিরপুর জোনের সম্পত্তি কর্মকর্তা রবি দাসের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, এ দুাট পাবলিক টয়লেট টেন্ডার ছাড়া দীর্গদিন যাবৎ স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতারা চালাচ্ছেন। তারা নিজেরাই খেয়াল খুশি মতো ঘর নির্মান পূর্বক টয়লেট এবং দোকানঘর গড়ে তুলেছেন।
এ টয়লেট দুটির বিষয়ে সমাধানের জন্য তাদেরকে একাধিক বার চিঠি দেয়া হলেও তারা কোনোও সদোত্তর দেয়নি।
পক্ষান্তরে জানা যায়,গাবতলী গরুরহাটের পশ্চিমপাশের উত্তর এবং দক্ষিণ কোণে সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে টয়লেট নির্মান করেন সম্পুিত্ত কর্মকর্তা রবিদাসের ঘনিষ্ট আত্মীয় আওয়ামীলীগ নেতা লেংড়া নুরু। সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগে এদের বিরুদ্ধে দারুসসালাম থানা এবং সাভার থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
স্থানীয় একাধিক গরু ব্যবসায়ি জানান, প্রতিদিন গাবতলী গরুরহাটে সারাদেশের প্রায় বিশহাজার ব্যবসায়ীর সমাগম গয়। তাছাড়া আরো বিশ হাজার ক্রেতার আসেন। এ সকল মানুষ হাটের পশ্চিমপাশের নির্দ্দিষ্ঠ ওই দুটি টয়লেট ব্যবহার করে থাকে। আগে টয়লেট না থাকার কারণে ব্যাপারীদের ভীষন কষ্ট পেতে হতো।
এ দুটি টয়লেটের কারণে তাদের কষ্ট লাঘব হয়েছে। তারা আরো জানান, এ দুটি টয়লেট নির্মানে কারো অনুমতি নেয়নি স্থানীয় লেংড়া নুরু। ডিপজল, টিপুর শেল্টারে থেকে গায়ের জোরে সংুশ্লিষ্ট থানা আওয়ামীলীগের নেতার সাঙ্গপাঙ্গরা মিলে দুটি টয়লেট পরিচালনা করছেন। সরকার পতনের পর সকলে পালিয়ে গেলেও লেংড়া নুরু তার সহযোগীদের নিয়ে দাপটের সহিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে সরকারের রাজস্ব ক্ষতির পাশাপাশি লাখ লাখ টাকার বিদ্যুৎ পানির অপচয় হচ্ছে।
ডিএনসিসির মিরপুর জোনের সম্পত্তি কর্মকর্তা রবিদাস দীর্ঘ ৭ বছর ধরে চেয়ারে থাকার সুবাদে মিরপুরের বাসিন্দাদের কাছে ঘুষের এবং পাওয়ারের মেলবন্ধনে পরিণত হয়েছে। এলাকার যত অবৈধ এবং ঘুষের কাজ করতে গিয়ে একাধিকবার ব্যবসায়িদের রোষানলেও পড়েছিলেন। তিনিও আওয়ামীলীগের প্রেতাত্মা বলেও অভিযোগ রয়েছে। সরকার পতনের পরই তিনি বোল পাল্টিয়ে ফেলেছেন। গোপনীয় তদন্ত করলে রবি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে এ সকল অভিযোগের সত্যতা মিলবে।