
মােঃ জাহিদ হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনা।ঘটছে প্রাণহানী। আহত হচ্ছে ্অসংখ্য।
২০২৪ সালের জানুয়ারী থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত গত বছরে ঘোড়াঘাট উপজেলায় প্রতি মাসে গড়ে ৩টি করে ছোট বড় সড়ক দূর্ঘটনা ঘটছে।
চলতি মাস পর্যন্ত এই উপজেলার উপর দিয়ে যাওয়া মহাসড়কটিতে ছোট-বড় ৩৬ টি সড়ক দূর্ঘটনা ঘটেছে। এতে মারা গেছে ২৬ জন এবং আহত হয়েছে প্রায় ৫০ জন।
মানুষের চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে প্রতিনিয়ত উন্নতি হচ্ছে দিনাজপুর সহ সারা দেশের সড়ক ও জনপদগুলোর। তবে জনগণের অসচেতনতা এবং চালকদের অনিয়ন্ত্রিত গতি সহ নানা কারণে প্রতিনিয়ত ঘোড়াঘাটে সড়ক দূর্ঘটনা ঘটছে বলে দাবী সচেতন নাগরিকদের।
সড়ক দূঘটনা একক কারণে হচ্ছেনা, আইন আছে বা আইন না মানা প্রবণতা, অবকাঠামোগত উন্নয়নে ঘাততি এবং সড়ক সংশ্লিষ্ট শিক্ষার অভাব সহ বেশ কয়েকটি কারণে সড়ক দূঘর্টনা গুলো ঘটছে। গবেষণাতে এ সব বিষয় উঠে এসেছে। এছাড়াও সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে তরুন ও যুবক সমাজ সড়ক দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে বলে দাবী করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
রাজধানী ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তর জেলা দিনাজপুর সহ ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলায় যাতায়াতের অন্যতম প্রধান রুট দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক। এই সড়কটির ২১ কিলোমিটার অতিক্রম করেছে ঘোড়াঘাট উপজেলার উপর দিয়ে।
ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের তথ্য বলছে, গত জানুয়ারী থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই উপজেলার উপর দিয়ে যাওয়া মহাসড়কটিতে ছোট-বড় ৩৬ টি সড়ক দূর্ঘটনা ঘটেছে। এতে মারা গেছে ২৬ জন এবং আহত হয়েছে প্রায় ৫০ জন। এছাড়াও সড়ক দূর্ঘটনার ঘটনায় সড়ক নিয়ন্ত্রন আইনে ঘোড়াঘাট থানায় পৃথক পৃথক মামলা হয়েছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বড় দূর্ঘটনা ঘটেছে গত জুন মাসের ১০ তারিখ সন্ধায়। ওইদিন দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের হিলি মোড় এলাকায় মিনি পিকআপ ও মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলের চালক স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপ সহকারী প্রকৌশলী নিহত হন। এতে অনিয়ন্ত্রিত গতিতে থাকা পিকআপটি রাস্তার পাশে জমিতে উল্টে যায় এবং সেখানে থাকা ১৮ জন মিল শ্রমিক আহত হয়।
সর্ব( শেষ ১২ জানুয়ারী) রবিবার সকাল সাড়ে ৭টায় আঞ্চলিক মহাসড়কে কলাবড়িীর দক্ষিণে দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রাকের ধাক্কায় টমেটো বিক্রিতা মিজানুর রহমান(৪০)নিহত ও ইজিবাইক চালক আঃ মান্নান (৬০) গুরুতর আহত হন।;
ঘোড়াঘাট ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন পরিদর্শক মোঃ আতাউর রহমান জানান, ঘটে যাওয়া এ সব দূর্ঘনার মধ্যে অধিকাংশই মোটরসাইকেল দূর্ঘটনা। আহত অধিকাংশই তরুন প্রজন্মের। মোটরসাইকেল নিয়ে বন্ধুদের সাথে পাল্লা দেওয়া খেলা এবং ট্রাফিক আইন মেনে না চলায় প্রতিনিয়ত এই মহাসড়কে দূর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনগণের অসচেতনতাও এ সব দূর্ঘনার অন্যতম কারণ।
ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নাজমুল হক বলেন, সড়ক দূর্ঘটনা রোধে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। এর মধ্যে অন্যতম মোটরসাইকেল চালকদের শতভাগ মেলমেট পরিধান নিশ্চিত করা। সড়ক গুলোতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালালে চালকদেরকে জরিমানা করা হচ্ছে।হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল আরহিীদেরকে তেল না দেওয়ার জন্য ফিলিং স্টেশনে সতর্কী করণ ব্যানার লাগানো হয়েছে।
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর দিনাজপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ বলেন, সড়ক দূঘটনা একক কারণে হয় না। আইন আছে বা আইন না মানা প্রবণতা, অবকাঠামোগত উন্নয়নে ঘাততি এবং সড়ক সংশ্লিষ্ট শিক্ষার অভাব সহ বেশ কয়েকটি কারণে সড়ক দূঘর্টনাগুলো ঘটছে। গবেষণাতে এ সব বিষয় উঠে এসেছে। এছাড়াও সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে তরুন ও যুবক সমাজ সড়ক দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।