জুয়েল শেখ জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি হাটের ইজারা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তথা কথিত নাগরিক কমিটির নামে একটি মহল লিফলেট বিতরন সহ মিটিং করে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে জনমনে বিভ্রান্ত সৃষ্টি ও মান ক্ষুন্ন করায় অভিযোগ করেছেন পৌর মেয়র আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবিব।
২৩ জানুয়ারী মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় পৌর কার্যালয়ে স্হানীয় সাংবাদিকদের সামনে লিখিত বক্তব্য তিনি অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, হাট ইজারা সরকারী নীতিমালার সকল বিধি-বিধান, নিয়ম কানুন মেনে পৌর পরিষদের সাধারন সভার অনুমোদনে ১৯৩১ বাংলা সনে বালিঘাটা হাট-ইজারা প্রদান করা হয়েছে। তথা কথিত নাগরিক কমিটির পাঁচ কোটির গল্প একটি নিছক অপপ্রচার । জয়পুরহাট সহ আশে পাশের বিভিন্ন জেলার সকল হাটের চেয়ে পাঁচবিবি হাট-বাজার অনেক বেশি মূল্যে ইজারা প্রদান করা হয়েছে। তাদের কথায় যদি ইজারা মূল্য পাঁচ কোটি টাকা হয় তাতে তো পৌর সভারই লাভ। এ সহজ হিসাবটা আমি কেন বুঝবো না ?
তিনি বলেন, দায়িত্ব গ্রহনের পূর্বে এই হাট যে মূল্যে ইজারা প্রদান হয়েছে, আজ তার চেয়ে ৩/৪ গুন বেশি মুল্যে ইজারা প্রদান করা হয়েছে। সুশাসন এবং সুন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য আমাদের হাট আজ দুই কোটি ৬৪ লাখ টাকায় ইজারা প্রদান করতে পেরেছি।
এ বিষয়ে যদি তাদের নুন্যতম অভিজ্ঞতা থাকত তবে দরখাস্তটি মেয়র বরাবর করতেন । এইসব সাধারন মানুষের মনোযোগ আকর্ষনের জন্য জন্য মিথ্যা ভাষন। পাঁচবিবিতে নতুন নতুন মার্কেট নির্মান করতে গিয়ে কিছু দোকানদারের কষ্ট হয়েছে। কোন লোক দোকান পায়নি, মানবেতর জীবন যাপন করছে এ সবই মিথ্যা। মার্কেটের উদাহরণ টেনে বলেন, একজন ব্যক্তিও এরকম নাই যিনি দোকান পাননি। কাঁচা বাজারে এখনো মার্কেটের ভিতর ১৭ টি খালি পরে থাকার কথা বলেন। তাদের কল্পনায় কাকে ব্যবসায়ী সৃষ্টি করে মিথ্যা অপপ্রচার করছেন তা বোধগম্য নয়।
একই ভাবে সিকিউরিটির নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের কথা বলেছেন। যা মিথ্যা সরকারী টাকা হাতে নগদ নেবার বিধান নাই, ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে পৌরসভার একাউন্টে টাকা হয়। সেই টাকা পৌরসভা থেকে নিয়ম কানুনের মাধ্যমে উত্তোলন করতে হয় এবং সেটা প্রতি মাসের মাসিক সভায় উপস্থাপন হয়। প্রতি বছর মন্ত্রণালয় থেকে অডিটর এসে অভিট করে থাকেন। বিষয়গুলো যত সহজে উনারা বলে গেছেন বা লিফলেটে লিখে গেছেন তা সহজ বিষয় নয়। তাদের এমনি অনেক মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করায় আমি তীব্র ঘৃনা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন আমিও তো একজন নাগরিক, এ কমিটির গঠন বিষয়ে জানিনা, সাধারন নাগরিকেরাও তেমনি জানে না। তিনি তথাকথিক নাগরিক কমিটিকে প্রশ্ন রেখে বলেন, এই পৌরসভার কত মানুষের মতামতের ভিত্তিতে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে? উনারা নাগরিকের দাবী আদায়ে কোন কোন সময় জেগে উঠেন? নাগরিকের জন্য কি কি ভাল কাজ করেছেন ? তারা কি শুধু পৌরসভার ইজারায়।
তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন কর্মী দাবী করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসাবে পাঁচবিবি পৌর সভাকে গড়ে তোলার জন্য যখন অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি, তখন একটি বিশেষ মহলের ইন্ধনে আমার বিরোধী কুচক্রি মহল আমার সম্মান হানি এবং পৌরসভার উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলার সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। কোন ষড়যন্ত্র বাধা আমার এই অপ্রতিরুদ্ধ গতিকে আটকাতে পারবেনা। এসময় প্যানেল মেয়র সহ প্রায় সকল কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।