ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পুরণে আগাম প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমেছেন কক্সবাজার ঈদগাঁওর প্রান্তিক চাষীরা।
দেশের লবণ উৎপাদনে কক্সবাজার অন্যতম। সাদা সোনা খ্যাত লবণ উৎপাদনের আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে চাষীরা। নভেম্বরে মৌসুমের শেষ বৃষ্টির আশঙ্কাটা শেষ হলেই পুরোদমে শুরু হবে লবণ উৎপাদন। বিসিকও বলছে একই কথা। আগামী কিছুদিন পর পুরোদমে লবণ উৎপাদন শুরু হবে পুরো জেলাজুড়ে।
গত দুয়েকদিন ধরে ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর-পোকখালীর কিছু অংশে আগাম লবণ মাঠে কাজ করতে দেখা মিলে চাষীদের। বিশেষ করে, জেলার কিছু কিছু জায়গাতেও আগাম লবণের চাষ শুরু হয়। কক্সবাজারের খুরুশকুল, ভারুয়া খালী,চৌফলদন্ডী,খুটাখালীও ডুলাহাজারা লবণ উৎপাদন প্রস্তুতি দেখা গেছে।
এক লবণ চাষী জানান,মৌসুমে তিন একর জমি লবণ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত করেছেন। মাঠে নিরলস কাজ করছেন চাষীরা। লবণের বেড সমান করছে, পানি দিচ্ছে আর বিছানো কাগজে ফোটা ‘সাদা সোনা’ বেডের অদূরে লবণ জমানো গর্তে ফেলছে। চাষীরা বলেন, এখনো লবণের দাম কম। লবণ চড়া দামে বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাবাদী তারা। যদিও চলতি নভেম্বর গত বছরের তুলনায় লবণের দাম অনেক কম বলে জানিয়েছেন। মৌসুম ভালো হলে লবণের ন্যায্য দাম পাবে বলে আশাবাদী প্রান্তিক চাষীরা।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বরের শেষের দিক থেকে মূলত লবণের মৌসুম শুরু। এই সময়ে ২৬ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ মৌসুমে দেড় লাখের অধিক মেট্রিক টন বেশি ধরা হয়েছে।