সিলেট থেকে আদনান চৌধুরী ঃ
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ অভিযানে গ্রেপ্তার ৪।গ্রেপ্তারকৃতরা টহলরত পুলিশের উপর হামলার আসামী।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো – উপজেলার পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়নের নিমু মিয়ার ছেলে সোয়াইবুর রহমান মিটন (৩০), আমুড়া বাঙ্গালীগুল এলাকার মৃত সাবাজ আলীর ছেলে গিয়াস উদ্দিন (৪৫), তার ভাই সাহাব উদ্দিন ও একই এলাকার মৃত আবাদ আলীর ছেলে নুর উদ্দিন (৫২)।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এরাল বিল জলমহাল নিয়ে ইজারাদার (লীজ গ্রহীতা) ও স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে বিরোধ চলছিল৷ বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ গত (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিরোধ নিরসনে দু’পক্ষকে নিয়ে থানায় আলোচনা সভা করেন।
আলোচনা সভায় উভয়পক্ষ কোন ধরণের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেন না বলে জানান।
ঐ দিন দিবাগত রাত্রে উপপরিদর্শক সুরুজ আলীর নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা এরাল বিল পরিদর্শনে যান। পুলিশ সদস্যরা নৌকা যোগে এরাল বিলের মধ্যখানে পৌঁছামাত্র বিলে মাছ শিকাররত প্রায় অর্ধশতাধিক লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়৷
হামলায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ উপপরিদর্শক সুরুজ আলী, কনস্টেবল তানজিল ও রনি তালুকদার আহত হন। হামলায় গুরুতর আহত সুরুজ আলী বর্তমানে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এঘটনায় উপপরিদর্শক সুরুজ আলী বাদি হয়ে ২৪ জনের নাম উল্লেখ ও ২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা (মামলা নং: ১২ তা: ১১/১১/২০২৪ইং) দায়ের করেন।
মামলার ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় ৩ জনসহ মোট ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে৷
গ্রেপ্তারের বিষয়টি আমার প্রাণের বাংলাদেশ- কে নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান মোল্যা।