সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধিঃ
এবার বেরিয়ে আসলো সেই শিক্ষকের স্ত্রীকে ধর্ষণ করে হত্যা করার কিছু তথ্য এক শিক্ষক এর স্ত্রী জোর করে ধর্ষণ করে হত্যা মামলা ধামাচাপা দেয়ার অন্য শিক্ষা আসামিকে বাঁচানোর চেষ্টা। সাতক্ষীরা জেলা তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার খলিষখালি ইউনিয়নের এক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষকের স্ত্রীকে জোর করে ধর্ষন করে হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে তালা উপজেলার মাদরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক ও আওয়ামী লীগ নেতা শ্যামল সহযোগিতায় নিয়ে ধামাচাপর দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার খলিষখালি ইউনিয়নের টিকরাপুর গ্রামের লম্পট খালেক সরদার খালাকে সরদার।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসি বলেন এক বছর আগে পাটকেলঘাটা থানার খলিষখালি ইউনিয়নের দলুয়া কৈখালী সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক পরিমলের স্ত্রী কে ধর্ষন করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন লম্পট খালেক সরদার। মামলা হলেও কোন বিচার পাইনি অসহায় শিক্ষক পরিমল বাঁচার। শিক্ষক পরিমল বাচার সাথে দীর্ঘদিন ভালো সম্পর্ক ছিলেন খলিষখালি ইউনিয়নের টিকরাপুর গ্রামের লম্পট খালেক সরদারের সেই সূত্র ধরে এই লম্পট খালেক সরদার বিভিন্ন সময় এই শিক্ষক পরিমলের বাসায় জাতোয়ার করতেন সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তার স্ত্রীর কে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন লম্পট খালেক সরদার পরিমল বাঁচারের স্ত্রী তার এই কথা জানালেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ হিসাবে তিনি প্রতিবাদ করতে পারবেন না বলে বিষয়টা চেপে যান কিন্তু হঠাৎ আবারো এই লম্পট খালেক সরদার তার পরের দিন বাড়িতে কেউ না থাকায় সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সন্ধ্যায় গিয়ে পরিমল বাঁচার স্ত্রীকে জোর করে ধর্ষণ করেন লম্পট খালেক সরদার তখন তার স্বামী বাড়িতে এসেই দেখতে পেলে খালেক সরদার কিছু না বলে চলে যায় ওই দিন রাতে তার স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে প্রথমে ধর্ষণ করে তারপরে গাছে ঝুলিয়ে দেন এই লম্পট খালেক সরদার্ খালেক সরদার বিরুদ্ধে মামলা হলেও লক্ষ টাকা দিয়ে এক শিক্ষকের সহযোগিতায় ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা খালাকে সরদার। এ ব্যাপারে অনুসন্ধানে জানা যায় পাটকেলঘাটা দলুয়া মাদরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক শ্যামল সহযোগিতায় তালা উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ঘোষ সনদ কুমারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় খালেক সরদার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নেন মাদরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক শ্যামল আওয়ামী লীগের দালাল।
তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনদ কুমারের সহযোগিতায়। পাটকেলঘাটা থানার সাবেক ওসি কাঞ্চন কুমার রায় ও সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদ হোসেনকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ধামাচাপর দেওয়ার চেষ্টা করেন আওয়ামী লীগের দুর্নীতিবাজ সনদ ঘোষের দালাল তালা উপজেলার মাদরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক শ্যামল। একজন শিক্ষক হয়ে আর একজন শিক্ষকের স্ত্রীকে জোর করে ধর্ষণ সর্বশেষ হত্যা মামলা ধামাচাপা দিতে সহযোগিতা করায় এলাকায় আলোচনা সমালোচনা ঝড় উঠেছে।
এলাকায় বাসি আরো বলেন জোর করে ধর্ষণ ও হত্যা হয়েছে ইনি আলোচনা হলে মামলা নিতে থানা পুলিশ বাধ্য হয় মামলা নেয়ার পরেই মাদরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক শ্যামল সহযোগিতায় মোটা অংকের টাকা দেন পাটকেলঘাটা থানার সাবেক ওসি কাঞ্চন কুমার রায়কে দিয়ে মামলায় তদন্ত রিপোর্ট করেন লম্পট খালেকের পক্ষে এলাকাবাসী আরো জানান খালেক একজন লম্পট টাইপের লোক শুধু এটা নাই এর আগেও তিনি বহুৎ মানুষের ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছেন মাদরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক শ্যামল সহযোগিতায় মোটা আংটির টাকা দিয়ে সেটাও ক্ষমা পেয়েছেন আমরা এলাকাবাসী চাই এই দুর্নীতিবাজ আওয়ামী লীগের দালাল মাদরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক শ্যামলকে আইনের আওতায় আনা হোক সাথে সাথে পুলিশের তদন্ত ছাড়াও নতুন করে মামলার তদন্ত করার দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে শিক্ষক পরিমল বাঁচার জানান
আমার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছেন এক বছর আগে এই নিয়ে মামলা হয়েছিলেন কিন্তু আমি শুনেছি মাদরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক শ্যামল সহযোগিতায় পুলিশকে টাকা দিয়ে লম্পট খালেক সরদার তার পক্ষে রিপোর্ট নিয়েছে এবং এই মামলা থেকে বাঁচার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা ঘোষ সনদ কুমারের ছাত্রছয় থাকা আওয়ামী লীগের দালাল মাদরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক শ্যামল সহযোগিতায় মামলাটি ধামাচাপার দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছেন এখনতো দেশ স্বাধীন তাই স্বাধীন দেশের আমি আমার স্ত্রী কে ধর্ষণ করে হত্যার মামলা নতুন করে তদন্তর দাবি জানাচ্ছি সেই সাথে ধর্ষণে করে হত্যা মামলার ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন মাদরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক শ্যামল তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে খালেক সরদার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি আড়াই মাস জেল খেটেছি এবং এখন জামিনে আছি।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাছে জানতে চাইলে তার ব্যবহৃত নাম্বার বারবার ফোন দিলে ফোনটা রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।