স্টাফ রিপোর্টার খুলনা
খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার রংপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামে এক ভন্ড কবিরাজ দীর্ঘদিন যাবত ভেলকিবাজি দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা।
এমন একটি গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আমাদের অনুসন্ধানী সাংবাদিক দল খোঁজ পায় এক ভন্ড অশোক তান্ত্রিক এর ঠিকানা।
সেখানে গিয়ে দেখা মেলে অনেক ভক্তের তারা বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ভন্ড পীর অশোক ঠাকুরের কাছে এসেছে কিন্তু তার চেম্বারে গিয়ে দেখা যায় সেখানে অশোক কবিরাজ নেই তার অনুপস্থিতিতে রোগী দেখছেন তার দুইজন শিস্য। ভেতরে যেতে দেখা মেলে বিভিন্ন আরবি হরফ লিখে থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে বিভিন্ন গাছের পাতা ও কাগজ।
বিভিন্ন গাছের পাতা ও গাছের বাকোলে লেখা হয়েছে রোগীদের নাম
এমনকি এই ভন্ড কবিরাজ অশোক তার নিজের নামের ব্র্যান্ডিং করে বিক্রি করছেন ঔষধ, ঔষধের নাম দিয়েছেন অশোক কারিস্ট, তাদের মতে সকল জটিল ও কঠিন রোগের সমাধান এই অশোকারিস্ট।
কিন্তু জানা যায় এই অশোককারীস্ট ঔষধ বিক্রয়ের সরকারি কোন অনুমোদন নেই।
কিছুক্ষণের মধ্যেই চেম্বারে এসে হাজির হয় তথাকথিত কবিরাজ অশোক ঠাকুর তার কাছে এসব কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে ও তার এখানে বিক্রয়কৃত ঔষধের অনুমোদন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে মার মুখি অবস্থানে চলে যান এবং সাংবাদিকদেরকে বলেন এখানে সাংবাদিক প্রবেশ নিষিদ্ধ।
দিনের পর দিন এভাবেই অনুমোদনহীন ঔষধ সেবন করিয়ে সাধারণ মানুষদেরকে মৃত্যুর পথে ঠেলে দিয়ে অর্থ উপার্জন করছে এসব ভন্ড কবিরাজেরা তাদের কাছে রয়েছে সকল সমস্যার সমাধান।
সাধারণ মানুষ একবার তাদের ফাঁদে পা দিলেই হয়ে যাবে নিঃস্ব।
একজন হিন্দু ধর্ম অবলম্বী হয়েও তিনি তার রোগীদেরকে মুসলমানদের আল কুরআনের হরফকে বিকৃত করে বিভিন্ন গাছের পাতা ও কাগজে লিখে চিকিৎসা দিচ্ছেন তার ভক্তদের।
শুধু খুলনায় নয় গোটা দেশের আনাচে-কানাচে সব জায়গাতেই আছে অশোক ঠাকুরের মত হাজারো ভন্ড পীর ঠাকুর তান্ত্রিক বৈদ্য কবিরাজ একবার এদের ফাঁদে পা দিলেই হচ্ছে মগজ ধোলাই হারাতে হচ্ছে নিজের সর্বস্ব।