দুমকী উপজেলা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
পটুয়াখালী বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯ম ভিসি হিসেবে যোগদান করেছেন প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বরিশাল থেকে সড়ক পথে সকাল ১০ টায় ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছালে নবনিযুক্ত ভিসিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বরন করে নেয় রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. হেমায়েত জাহান, জ্যেষ্ট অধ্যাপক মোঃ জামাল হোসেন, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোঃ জিল্লুর রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর সচিবালয়ে যোগদান করেন। যোগদান শেষে নব নিযুক্ত ভিসি , শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষার্থীরা ও পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাব, দুমকি প্রেসক্লাবের সভাপতি জাকির হোসেন হাওলাদার ও পবিপ্রবি এর সাংবাদিকদের সাথে পর্যায়ক্রমে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময়ে ভিসি বলেন, মহান আল্লাহপাকের অশেষ রহমত তিনি আমাকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমি কোন নিজস্ব স্বার্থ, গোষ্ঠী বা আদর্শের জন্য কাজ করবো না। আমি বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষার্থীদের স্বার্থে গড়ে তুলতে চাই। আমি পবিপ্রবিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার জন্য কাজ করবো।
শিক্ষকদের উদ্দেশ্য ভিসি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে হলে আপনাদের শিক্ষকদের সহযোগিতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। যদি আপনারা আমাকে সহযোগিতা না করেন তাহলে আমার পরিকল্পনা ব্যর্থ হবে। আমি শুধু আপনাদের ভাইস চ্যান্সেলরই না। আমি প্রথমে একজন গবেষক , তারপর একজন শিক্ষক তার পর এখানে সরকার আমাকে ভিসি হিসেবে দিয়েছেন। স্বৈরাচারকে ঠেকাতে হবে এবং সবাই মিলে সফলতা অর্জন করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ভিসি বলেন, আমি এখানে একটা ভিশন নিয়ে এসেছি। এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমার স্বল্প মেয়াদী এবং দীর্ঘ মেয়াদী অনেকগুলো পরিকল্পনা আছে। আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থী ও আমার স্বপ্ন অনেক বড়। আমি নতুন কিছু নিয়ে আসতে চাই। শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানমুখী করে গড়ে তোলা এবং শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয় হবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের আদর্শ বিদ্যাপিঠ। সকলের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে একটা সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
এসময় উপাচার্য আরও বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকলের সহযোগিতায় নতুন বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে নতুনভাবে বৈষম্যহীন বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে। বৈষম্যবিরোধী আন্দালনে শহীদ এবং আহতদের ত্যাগের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, তাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, তাদের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবো। তাহলেই কেবল তাদের প্রতি সম্মান জানানো হবে। সবাইকে আন্তরিকভাবে দেশের জন্য দায়িত্ব পালন এবং দ্বিতীয় স্বাধীনতা স্বার্থক করতে কাজ করতে হবে। সবাইকে সহনশীল হয়ে, ত্যাগ স্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সর্বোপরি শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।