গাজীপুরের কোনাবাড়ী আবাসিক হোটেলের নামে চলছে রমরমা মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপ

জুলফিকার আলী জুয়েল (স্টাফ রিপোর্টার)..

গাজীপুর কোনাবাড়ী বৃহত্তর মোবাইল মার্কেট মোহাম্মদ আলী প্লাজার ৩,৪,ও ৫ম তলায় হোটেল হ্যাভেন আবাসিক হোটেলে যেন কোনভাবেই থামছেনা দেহ ব্যবসা। কতিপয় অসাধু ব্যক্তিরা বিভিন্ন কায়দায় বেশ কিছু হোটেলে এসব অবৈধ কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন। শুধু দেহ ব্যবসাই নয় এর আড়ালে আবাসিক এই হোটেলে পরিনত হয়েছে মাদকের স্বর্গরাজ্যে। এসব হোটেলের কারণেই ধ্বংসের পথে চলে যাচ্ছে যুব সমাজ।

দৈনিক আমাদের সংবাদ ও দৈনিক আমার প্রানের বাংলাদেশ পত্রিকার অনুসন্ধানে উঠে আসে বেশকিছু আবাসিক হোটেলের নাম।  এর মধ্যে অন্যতম কোনাবাড়ী হোটেল হ্যাভেন। হোটেল ম্যানেজার উজ্জ্বল এর দাবি কোনাবাড়ি থানা সহ প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে হোটেল চালাচ্ছি অল্প কিছু মেয়ে থাকে তা সবাই জানে।
যেখানে দে-ধারছে চলছে অবৈধ নারী ও জীবন ঘাতক মাদকের রমরমা বাণিজ্য। হোটেল হ্যাভেনে ঢুকতেই সামনে দেখা যায় কেচি গেট লাগানো একজনের পর একজন আসছেন একজন  বসে থাকেন খদ্দের রিসিভ করার জন্য।

কাস্টমার সেজে অনুসন্ধান করা হয় তখন দেখা যায় একটু ভিতরের দিকে নজর পড়তেই আছে ম্যানেজার উজ্জ্বল সহ কয়েকজন।  হোটেল হ্যাভেনের মালিক রাসেল ভয়ংকর ব্যবসার মূলহোতা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী জানান ইস্কুল কলেজ পড়ুয়া মে অল্প বয়সের মেয়েরা ও নেশাখোর ছেলেরা গুন্ডা পান্ডা গুলো আমাদের ফলো করে। এই হোটেলের কারণে আমরা সব সময় ভয়ে আতঙ্কে থাকি। অল্প বয়সের মেয়েদের দালালদের মাধ্যমে পাচার করে এই সমস্ত হোটেলে এনে রাখা হয়। রুমের দিকে তাকালেই দেখা মেলে অল্প ও মধ্য বয়সী কয়েকজন সুন্দরী মেয়েকে। আর কিছু রুমে খরিদ্দারসহ অনেকেই শুয়ে আছেন, আবার কোন রুমে দেখা যায় ইয়াবা ও মদ পান করছে কয়েকজন। এদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা বলেন এরা আমাদের ভিআইপি গেস্ট।
ম্যানেজার উজ্জ্বল আরো বলেন আমরা পুলিশ প্রশাসন কে মোটা অংকের চাঁদা দিয়ে খোলামেলা ব্যবসা করি। আমাদের এখানে কেউ কিছুই করতে পারবে না।


জানা যায় এখানে দেশের বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চল থেকে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ও বিধবা নারীদের বিভিন্ন কাজের লোভ দেখিয়ে এনে তাদের দিয়ে দেহ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে একটি শক্তিশালী দালাল চক্র। এ বিষয়ে কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ ওসি নজরুল বলেন এমন অপকর্ম আমার জানা নাই আমি এখনই পুলিশ টিম পাঠাচ্ছি। মাসোহারার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। কোন মাসোয়ারা নেওয়া হয় না। এছাড়াও আমার থানা এলাকায় এ ধরনের অসামাজিক কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসা চলতে দিব না, দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply