এলাকাবাসীর তোপের মুখে দৌড়ে পালিয়েছেন অবৈধ ইটভাটার মালিক পিতা ও পুত্র

 

 

স্টাফ রিপোর্টার

সাতক্ষীরায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর অভিযানে নেমেছে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর। অভিযানে এলাকাবাসীর তোপের মুখে দৌড়ে পালিয়েছেন অবৈধ ইটভাটার মালিক পিতা ও পুত্র।মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরতলীর বিনেরপোতা এলাকার রহমান ব্রিকস নামের অবৈধ ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা কালে এই ঘটনা ঘটে। অভিযানে নেতৃত্বদেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আকাশ। এ সময় পরিবেশ অধিদপ্তর সাতক্ষীরার সহকারী পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, রহমান ব্রিকসের মালিক ফরিদ রহমান ও তার পিতা আবু হোসেন মো: মোকসুদুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে বহু লোকজনের কাছ থেকে দাদনে টাকা নিয়েও গ্রাহককে ইট সরবরাহ করেন না। বরং ইট অথবা টাকা ফেরত চাইতে গেলে পিতাপুত্র তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের ভয়ভীতি দেখিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত তারা টাকা ফেরত দিচ্ছেন না।এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ফরিদ রহমান ও তার পিতা আবু হোসেন মো: মোকসুদুর রহমান কোন মন্তব্য না করে ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আকাশ জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের লাইসেন্স আপডেট করা নেই। কোনটাই তারা ঠিকমত পরিচালনা করছে না। কিন্তু তারা আজকে আমাকে যেটা দেখিয়েছে তাদের হাইকোর্টের একটি রিট পিটিশন করা রয়েছে। রিপে হাইকোর্ট আদেশে বলা হয়েছে স্থির অবস্থা বিরাজ করবে। স্থির অবস্থা বিরাজ করা মানে এই না যে তারা ইটভাটা পরিচালনা করবে। এর মানে হল আপনার ইটভাটা বন্ধ থাকবে।

তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে মাত্র দুই মাস সময় দেওয়া হয়েছে, এই দুই মাসের মধ্যে যদি তারা জেলা প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নবায়ন না করলে সে ক্ষেত্রে আমরা ভাটা বন্ধ করে দেব। এ সময়ে উত্তেজিত জনতার উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আইন আপনারা নিজের হাতে তুলে নিবেন না। দেশের আইন-শৃঙ্খলা আর অবনতি হতে দিয়েন না। আপনাদের কোন অভিযোগ থাকলে সেটা লিখিত ভাবে আমাদের কর্তৃপক্ষকে জানান, আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর এখানে কোন ইটভাটা লাইসেন্স ছাড়া পরিচালনা করতে পারবে না। পরিবেশ অধিদপ্তর সাতক্ষীরার সহকারী পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম বলেন, আমরা মহামান্য কোর্টকে জানাবো যে তারা হাইকোর্টের রায়ের অপব্যাখ্যা করছে।

যেহেতু এটি হাইকোর্টের চলমান একটি বিষয়। সাধারণ মানুষ হিসেবে তারা ভুল করতে পারে এখন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে আমরা তো হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করতে পারিনা।

Leave a Reply