নিজস্ব প্রতিবেদক
চলতি বছরের প্রথম থেকে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে, দুর্নীতির বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন জমা করেছিলিন একাধিক ব্যক্তি কিন্তু ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ আনোয়ার হোসেন প্রভাবশালী হওয়ায় আওয়ামী রাজনীতিবিদদের প্রভাব খাটিয়ে, বিভিন্ন দপ্তর ম্যানেজ করে আছেন বহাল তবিয়তে। বর্তমানে প্রতিবেদকের কাছে এসেছে ঘুষ লেনদেনের একটি ভিডিও যা দেখতে পারবেন পরবর্তী পর্বে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন ৩০শে জুলাই ১২:২৭ ঘটিকার সময় দুই ব্যক্তি একটি শপিং ব্যাগে করে ফাইলপত্র নিয়ে আসে তারপর হয় লেনদেনের আলোচনা একপর্যায়ে টাকার একটি বান্ডিল দেওয়া হয় যা তাদের সাথে মিটিং শেষ হয় ১২:৫২ ঘটিকার সময়।
এদিকে টাক লেনদেনের বিষয়টি ঘুষের নয় বলে দাবি করেছেন উপসহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন সিকদার। তিনি নির্দোষ দাবি করে বলেন, এটি আমার ব্যক্তিগত টাকা টেবিলে রেখেছিলাম আবার পকেটে ঢুকাইতেছি। তাহলে কি সরকারি কর্মকর্তারা বাসা থেকে ব্যক্তিগত টাকা বান্ডিল পকেটে করে নিয়ে আসে।
পকেট থেকে বের করে টেবিলে রাখে আবার পকেটে ঢুকায় এটা এই প্রথম শুনলাম সরকারি এই কর্মকর্তার কাছথেকে।
প্রকল্পের কাজের বরাদ্দের খরচ নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। সেই ঘটনাটিকেই গোপনে ভিডিও করেছে ঠিাকাদার একজন এমনটাই জানান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ঠিকাদার ও সরকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদককে জানান
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সমগ্র দেশ নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের এস্টিমেটার মোঃ আনোয়ার হোসেন সিকদার ঘুষ দুর্নীতিতে শীর্ষে।
অধিকাংশ জেলার নির্বাহী প্রকৌশলীদের সাথে যোগাযোগ করে অনুমোদনের কপি হাতে হাতে দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা।
এই প্রকল্পে কোন প্রজেক্ট অনুমোদন হতে হলে তাকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দিয়ে এরপর প্রজেক্ট অনুমোদন হয় না হলে ফাইল চলে না গায়েব হয়ে যায় এমনটাই দাবি অনেকের।
ঢাকা শহর সহ, তার নিজ গ্রামে, নামে বেনামে একাধিক সম্পদের মালিক এই ঘুষখোর সরকারি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, ব্যাংকে আছে ফিক্স করা টাকা, স্ত্রী সহ তার আপন লোকজনের নামে জায়গা জমি রয়েছে, টাকা দেওয়া আছে বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে, স্বপরিবারে চলেন বিলাসিতায়, ঢাকায় রয়েছে অনেকগুলো প্লাট যা ক্রয় করেছেন ঘুষ দুর্নীতি ও অবৈধ টাকা দিয়ে।
- স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা সরকার দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও তার কিছু অনুসারী অসৎ ঘুষখোর দালাল কর্মকর্তা এখনো আছেন বড় বড় চেয়ারে। তাই দেশকে এগিয়ে নিতে অনেক কষ্টসাধ্য হচ্ছে বর্তমান অস্থায়ী সরকারের। এদেরকে দ্রুত অপসারণ না করা হলে যেমন বাড়বে দুর্নীতি ঠিক তেমনি স্বৈরাচার শাসনের দোসরদের দ্বারা দেশের অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে এমনটাই জানান অনেক কর্মকর্তা।
দুর্নীতিবাজ আনোয়ার হোসেন সব সময়ই স্বৈরশাসন শেখ হাসিনার গুনাগুন গাইতেন। পালন করতেন আওয়ামী লীগের সব নিয়ম নীতি ও অনুষ্ঠান, একটি ভিডিওতে দেখা যায় শেখ হাসিনার নিয়ম কানুনের একটি বই অফিস কক্ষের টেবিলে ও হাতে রাখতেন সবসময়। তাই অনেকেরই দাবি তদন্ত সাপেক্ষে দুর্নীতিবাজ ঘুষখোর আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে প্রধান উপদেষ্টা, দুর্নীতি দমন কমিশন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এগিয়ে আসবেন।
( অনুসন্ধান চলছে বিস্তারিত জানতে পারবেন আগামী পর্বে ও দেখতে পারবেন ঘুষ লেনদেনের ভিডিও)