মিটফোর্ডের হত্যার ঘটনা নিয়ে কোন কোন রাজনৈতিক দল ফায়দা লটার চেষ্টা করছে: রিজবী

খন্দকারআব্দুল হাসিব, ঢাকা


বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘গত বুধবার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সত্য উদঘাটনের দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। তবে বিএনপির অঙ্গসংগঠনের যাদের নাম এসেছে, তাদেরকে রাতেই আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।’

শনিবার (১২ জুলাই) উত্তরা ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, ‘বিএনপি একটি বৃহৎ পরিবার। কখনও কখনও ছিদ্রপথে দু’একজন দুষ্কৃতিকারী ঢুকে পড়তে পারে। কিন্তু দল কিংবা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কখনও কার্পণ্য করেন না।’

রিজভী উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘পরশু রাতে পাবনার সুজানগরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। সে রাতেই জড়িতদের বহিষ্কার করা হয়েছে। মিটফোর্ডের ঘটনাটিও রাজনৈতিক নয়, এটি ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক বিরোধ। ভাঙারি ব্যবসা নিয়ে এই সংঘর্ষ হয়েছে। নিহত ব্যক্তি ও ঘাতকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এটি দলের আদর্শ বা পদ-পদবি নিয়ে নয়, শ্রেফ ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধ। মহানগর বা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এ বিষয়ে কিছু জানতেন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা সংঘর্ষ বা হত্যাকাণ্ডে জড়িত, তাদের দল কোনোভাবেই ছাড় দেবে না। মাটির গভীরে গিয়েও তাদের বের করে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।’

রিজভীর অভিযোগ, ‘দুই-একটি রাজনৈতিক দল এই ঘটনাকে রঙচঙ দিয়ে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা মিছিল করে বিএনপির ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। অথচ আমরা শেখ হাসিনার মতো নিশ্চুপ থাকিনি। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি, জড়িতদের বহিষ্কার করেছি, ঘটনার নিন্দা জানিয়েছি। তাহলে আপনারা মিছিল করছেন কেন? রাজনৈতিক ফায়দা লুটতেই তো।’

একটি রাজনৈতিক দলকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আমরা ভুলে যাইনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের রগ কেটে দেওয়া, কিংবা বাস থেকে ধরে নিয়ে ছাত্রদল নেতাকে বিনোদপুর গ্রামে হত্যা করার মতো ঘটনাগুলো। আপনাদের নৃশংসতা ও ভয়াবহতা মানুষ আজও ভুলে যায়নি। এখন আপনারা সেই অতীত উপেক্ষা করে বিএনপির ইতিবাচক ভূমিকার বিপরীতে ফায়দা লুটতে চাইছেন, কিন্তু এতে
কোনও লাভ হবে না।’অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সংগ্রামী আহবায়ক জনাব আমিনুল হক সমাপনী বক্তব্য রাখেন। এছাড়া
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ অর্থ বিশ্য়ষক সম্পাদক মাহামুদুর রহমান সুমন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব হাজী মোঃ মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহবায়ক বৃন্দ যথাক্রমে মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন,এবিএমএ রাজ্জাক, আকতার হোসেন, এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, মুহাম্মদ আফাজ উদ্দিন, মহিলাদল ঢাকা মহানগর উত্তর এর সদস্য সচিব এডভোকেট রুনা লায়লা, মহানগর সদস্য বৃন্দ যথাক্রমে আলী আকবর আলী, মোতালেব হোসেন রতন, আব্দুস সালাম সরকার, রফিকুল ইসলাম খান, ইব্রাহিম খলিল প্রমুখ। বিমান বন্দর থানা বিএনপি আহবায়ক মনির হোসেন ভূইয়া, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলু, যুগ্ম আহবায়ক বৃন্দ যথাক্রমে মহিউদ্দিন তারেক, যুগ্ম আহবায়ক জুলহাস ভুঁইয়া, মাসুদ খান, মোঃ মোস্তফা বেপারী, থানা সদস্য বজলুল রহমান, ফজলুর রহমান সিকদার,রাসেল মিন্টু, বিপ্লব ভূইয়া, শফিকুল ইসলাম শফিক, বিমানবন্দর সাংগঠনিক ওয়ার্ড সভাপতি মোঃ আব্দুর রউফ, সাধারণ সম্পাদক রানা হোসেন রুবেল, সহসভাপতি মনির হোসেন তুরাগ থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক হারুনুর রশিদ খোকা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের খান আবুল,বিএনপি আহবায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল আলী, যুব নেতা মোবারক হোসেন, সহসভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক, প্রচার সম্পাদক নিক্সন ইসলাম শুভ, যুব বিষয়ক মনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply