আলমগীর শরীফ, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ-
ঝালকাঠিতে ০২ অক্টোবর ২০২৪ আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস উপলক্ষে জেলা প্রেসক্লাবের সামনে পিস ফেসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি) ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এই মানববন্ধন ও পথসভায় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট, সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন, পিএফজি, ইকোপার্ক খাল নদী ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সদস্যবৃন্দরা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুজন ঝালকাঠির জেলা সভাপতি মোঃ ইলিয়াস শিকদার ফরহাদ। এতে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন আনু, কবি-সাহিত্যিক ও লেখক মু. আল আমীন বাকলাই, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট সমাজসেবক মইন তালুকদার, সমাজসেবক জাহাঙ্গীর হোসেন, কবি আনিসুর রহমান পলাশ ও কে এম জুয়েল প্রমূখ।
বক্তারা বলেন ২০০৭ সাল থেকে জাতিসংঘ কর্তৃক আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে। “সংঘাত নয় ঐক্যের বাংলাদেশ চাই” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও ঝালকাঠিতে এই দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে। রাজনৈতিক সামাজিক পারিবারিক সকল ক্ষেত্রে সহিংসতা পরিহার করে ঐক্যের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সকলেই সচেষ্ট থাকব। ফিলিস্তিন, মিয়ানমার, লেবানন, বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর অনেক জায়গায় সহিংসতা বিদ্যমান। যা এই দিবসের প্রতিপাদ্যের বিপক্ষে।
এগুলি পরিহার করে ঐক্যের পৃথিবী গড়ে তুলতে পারলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স), গৌতম বুদ্ধ, যীশু খ্রীষ্ট, নেলসন ম্যান্ডেলা কিংবা মহাত্মা গান্ধী সকলেই পৃথিবীতে স্থায়ী শান্তির জন্য অহিংসতার কথা বলে গেছেন। এছাড়াও কবি আল আমীন বাকলাই বলেন ঝালকাঠির কবি কামিনী রায় তাঁর কবিতায় ঐক্যের কথা বলে গেছেন বহু পূর্বে – “সকলের তরে সকলে মোরা/ প্রত্যেকে মোরা পরের তরে।” মানববন্ধন ও পথসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সদ্য সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারমান উম্মে সালমা, সাবেক কাউন্সিলর নাসিমা কামাল, দিপু লাল বিশ্বাস, শাকিল হাওলাদার রনি, মুক্তা আক্তার, লাভলী বেগম, হীরা, পরিতোষ কুমার, এস এম হুমায়ুন কবীর, মুশফিকুর রহমান বাবু সহ প্রায় শতাধিক নেতৃবৃন্দ। প্রতিবছর ২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন অহিংস দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোতে পালন করা হয়ে থাকে।
মানববন্ধন চলাকালে সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার জুমে সংযুক্ত হয়ে সদস্যদের উদ্দেশ্যে অহিংস আন্দোলন ও ঐক্যের বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপক্ষে বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও জেলার ০৪ টি উপজেলায়-ই আলাদা আলাদাভাবে এই দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়ে থাকে।