সামছুদ্দিন জুয়েল
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী থেকে গাজীপুর জেলা শহরে যাতায়াতের জন্য ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক ছারা কোনো বাই রোড ছিলনা কোনো কোনো সময় কারনে অকারণে ৫-৭-১০ ঘন্টা যানজটে বন্ধ থাকতো ভোগান্তিতে থাকতে হতো যাত্রী সাধারণ ২০২১ এ প্রায় দুই মাস দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে টঙ্গী টু গাজীপুর একটি বাই রড তৈরি করতে সক্ষম হন গাজীপুরের ততকালীন মেয়র এ্যাড জাহাঙ্গীর আলম। হায়দরাবাদ বনমালা রোড যা কাল্পনিক ও জাদুর মতো একটি তাক লগানো মেজিক ২০/৩০ ফুট গভীর ভরাট করে অল্প সময়ের মধ্যে দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে জাহাঙ্গীর আলম রাস্তাটি করে দেন।
এখন দৈনিক লক্ষ্যাদিক গাড়ি চলে সল্প সময়ে টঙ্গী থেকে আমরা গাজীপুর চলে যাই। এই রাস্তাটি সম্পুর্ন করে জাহাঙ্গীর আলম ফল, ঔষধি, বনজাত সহ দশ প্রকার জাতের লাখ টাকার হাজার খানেক গাছ লাগিয়েছিলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাসেম মেম্বার এর মাধ্যমে ৭থেকে ৮ফুট অন্তর অন্তর গাছগুলো লাগানো হয়। সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে এই রোড কিন্তুু রোডের পূর্ব পাশে এই গাছগুলো কেটে বিভিন্ন বাহারি নামে অবৈধভাবে গড়ে উঠে ১৮-২০টি চাইনিজ, চটপটি, ফুচকা রেস্টুরেন্ট ১ কিলোমিটার এলাকার গাছ উজাড় করে রেস্টুরেন্ট গড়ে তোলে এই ব্যাবসায়ীরা। এ বিষয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন এর ৩৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাননীয় প্যানেল মেয়র মাসুদুল হাসান বিল্লাহ সাহেব এর কাছে জানতে চাইলে বলেন, কিছু চক্র জাহাঙ্গীর আলম এর সাময়িক অসুবিধায় থাকায় সুযোগ নিয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এ হরিলুট করছে তাই বাদ যায়নাই এই রোডের চারা গাছও, যারা এ গাছ কাটছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বন হলো জলবায়ু পরিবর্তন প্রাথমিক অবদানকারী, বাশ্ম জ্বালানী দহনের পরে বায়ুমণ্ডলীয় কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনের দ্বিতীয় বৃহত্তম নৃতাত্ত্বিক(মনুষ্যসৃস্ট) উৎসর্গ। তাই সরকার গাছ কাটা আইন থাকলেও অনেকে ই মানছে না। বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় টঙ্গী থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সৃষ্ট যাটজন কমাতে টঙ্গী-সুকুন্দিবাগ বনমালা বিকল্প সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। এই মহাসড়কে গাজীপুরের মানুষ ও উত্তর বঙ্গের যাত্রীসাধারণের যানজটের সীমহীন দুর্ভোগ কমাতে গাসিক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম টঙ্গী-সুকুন্দিবাগ বনমালা সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। মেয়রের নেতৃত্বে দীর্ঘ দুই মাসের মধ্যে এই বিকল্প সড়ক নির্মাণ করা হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও বিশেজ্ঞরা মনে করেন- টঙ্গী-সুকুন্দিবাগ বনমালা সড়ক নির্মাণ করায় এবং বিকল্প এই সড়ক ব্যবহারে টঙ্গী-গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত যানজটের চরম ভুগান্তি অনেকটা কমে আসছে। এতে লাখো যাত্রীসাধারণ তাদের সময় বাঁচিয়ে এই বিকল্প সড়ক ব্যবহারের মধ্য দিয়ে উপকৃত হয়েছেন কিন্তু গাছগুলো কেটে ও উজার করে রেস্তোরাঁ তৈরি করে অনেক বড়ো অপরাধ করেছেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল আবেদীন জানান টঙ্গী- সুকুন্দিবাগ বনমালা বিকল্প এই সড়কটি সিটি মেয়র দিনরাত পরিশ্রম করে, বিকল্প এই রাস্তাটিতে নিজ হাতে ইট বিছিয়েছেন। সয়েল কম্পেক্টর রোলার চালিয়েছেন। এরকম প্রকৃত জনবান্ধব একজন অভিভাবক পেয়ে গাজীপুরবাসীর গর্ববোধ করছেন তবে রাস্তার সবুজ ছায়া এতো সুন্দর গাছগুলো যারা নস্ট করছে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিচার দাবি করি। আরও বলেন এ সড়কে গাজীপুরের ১০ লাখ মানুষ তাদের অভ্যান্তরীন যাতায়াতে সুবিধা ভোগ করেন। ৫০ ফিট চওড়া করে রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়েছে। সড়কের পূর্ব পাশে করেছেন আলাদা ফুটপাত এখন প্রায়ই দখল হ’য়ে গেছ।
টঙ্গী বনমালা গাজীপুর হেডকোয়ার্টারের ১০ কিলোমিটারের বনমালা হায়দ্রাবাদ নয়া রাস্তাটি দেখতে উদ্বোধনের পর থেকে শত শত মানুষ ভীড় জমাচ্ছেন বনমালা হায়দ্রাবাদ সড়কে। প্যানেল মেয়র জনাব মোঃ মাসুদুল হাসান বিল্লাহ জানান পর্যায়ক্রমে এই রাস্তাটি রাজেন্দ্রপুরে গিয়ে ঢাকা ময়মনসিংহ মহসড়কে মিলিত হবে। অপরদিকে রাস্তাটি গাজীপুর টঙ্গী সিলেট এবং গাজীপুর বনমালা আমতলী হয়ে ঢাকা টঙ্গী কালীগঞ্জ সিলেট সড়কে মিলিত হবে। এছাড়া ঢাকা চট্টগ্রাম এবং ঢাকা ময়মনসিংহ রেললাইনের দুপাশ দিয়ে গাজীপুর সিটি এলাকায় ৬ লেন করে ১২ লেনের হাইওয়ে রাস্তা নির্মাণের একটি প্রকল্পও হাতে নেওয়া আছে।