ঢাকা বইমেলায় ডিএমপির স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি

স্টাফ রিপোর্টার

রক্তে মোরা বাঁধন গড়ি, রক্ত দেবো জীবন ভরি’- এমন স্লোগানে অমর একুশে বইমেলায় চলছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি। মানবিকতার সবচেয়ে বড় নিদর্শন হলো স্বেচ্ছায় রক্তদান। স্বেচ্ছায় রক্তদান করে অনেক প্রাণ বাঁচানো সম্ভব। তাই প্রতিবছরই এমন মহান কাজের অংশীদার হওয়ার সুযোগ করে দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। অন্যান্য বছরের মতো এবারও মেলার শুরু থেকে শেষ দিন পর্যন্ত চলবে ডিএমপির এ স্বেচ্ছায় রক্তদান কার্যক্রম।

বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ গেট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করার পর বামদিকে তাকালেই চোখে পড়বে ডিএমপির স্বেচ্ছায় রক্তদান কেন্দ্রটি। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের স্বেচ্ছায় রক্তদান কেন্দ্রটিতে যে কেউ স্বেচ্ছায় তাদের রক্ত দান করতে পারেন। রক্তদান কর্মসূচির আওতায় শুধু রক্তদানই নয় এখানে সংগৃহীত রক্ত পৌঁছে দেওয়া হয় বিভিন্ন মুমূর্ষ রোগীর প্রয়োজনে। তাছাড়া যাদের রক্তের প্রয়োজন তারাও এখানে এসে বিনামূল্যে রক্ত নিয়ে যেতে পারবেন।

জানা যায়, বইমেলায় আগত দর্শনার্থীদের মধ্য থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে আসেন। তবে বন্ধের দিনগুলোতে আরো বেশি, সেদিন প্রায় শতাধিক ছাড়িয়ে যায়। রক্তদান কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করতেই চোখে পড়বে মনোরম পরিবেশে সন্নিবেশিত পরিপাটি কয়েকটি বিছানা। যারা স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে আসবেন তারা যাতে আরামদায়ক ও সুন্দর পরিবেশে রক্ত দিতে পারেন এবং রক্ত দেওয়ার পর বিশ্রাম নিতে পারেন তাই এমন একটি সুন্দর পরিবেশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রক্তদান কেন্দ্রের এসআই সিদ্দিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পাঁচ থেকে ছয় জন পুলিশ সদস্য প্রতিদিন স্বেচ্ছায় রক্তদান কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তারা রক্তদান কেন্দ্রে প্রবেশের পর প্রথমে রক্তদাতার তথ্য নেন।

রক্ত দেওয়ার পর রক্তদাতাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ব্লাড ব্যাংকের একটি মেম্বারশিপ কার্ড দেওয়া হয় যাতে পরবর্তীতে রক্তের প্রয়োজন হলে যেকোনো সময় পুলিশ ব্লাড ব্যাংক থেকে ফ্রি রক্ত পেতে পারেন। বইপ্রেমী বাঙালিদের সবচেয়ে বড় আসর অমর একুশে বইমেলা। বইমেলা প্রাঙ্গণে দর্শনার্থীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে প্রতিবছরই সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার পাশাপাশি নানা ধরণের মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। তেমনি একটি সেবা স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি যা বইমেলায় সাধারণ মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছে।

Leave a Reply