স্টাফ রিপোর্টার
রাজধানীর তুরাগ থানাধীন দিয়াবাড়ি এলাকার স্কুল বাসে চালকের হাতে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে । এ ঘটনায় গাড়ি চালকসহ মোট দুজনকে গ্রেফতার করেছে তুরাগ থানা পুলিশ। এজাহার সূত্রে জানা যায় গত ১২ই অক্টোবর আনুমানিক দুপুর ১১:৫০ ঘটিকার সময় উত্তরা দিয়াবাড়ি ১৮ নং সেক্টর মাধবীলতা বিল্ডিং এর পূর্ব পাশে রাস্তার উপরে মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের বাসের মধ্যে উঠিয়ে ছদ্মনাম নাবিলা হক (১২) নামে স্কুল শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক ধর্ষন করেন গাড়ি চালক হারুনুর রশিদ(৫০)। ঘটনার পর এ বিষয়ে জানা জানি না হলেও ঘটনাটি অনেক দিন পর মেয়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদের মেয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বলেন সে অন্তঃসত্ত্বা।
ঘটনাটি শুনার পর ২০ জানুয়ারী মালিহার বাবা রেজাউল হক বাদী হয়ে তুরাগ থানায় দুই জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর পর দ্রুত অভিযান চালিয়ে গাজীপুর এরশাদ নগদ এলাকা থেকে দুইজন আসামীকে গ্রেফতার করেন তুরাগ থানা উপ পুলিশ পরিদর্শক মোঃ ইব্রাহিম মোল্লা। গ্রেফতার কৃত আসামিরা হলেন, হারুন অর রশিদ (৫০) পিতা: মৃত ইউনূস মিয়া, মাতা: আনোয়ারা বেগম এবং মোঃ তুষার (৪৬) পিতা: নুরুল ইসলাম, মাতা: জহুরা বেগম।
জানা যায়, মালিহা হক উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল, সেই অবস্থায় মাইলস্টোন স্কুলের বাস ড্রাইভার হারুন অর রশিদ (৫০) এর সাথে পরিচয় হয় এবং এক পর্যায়ের মালিহা নিয়মিত ঐ স্কুল বাসে করে আসা যাওয়া করত মালিহা এরই ধারাবাহিকতায় তাদের মধ্যে নাম্বার আদান প্রদান হয় ও এক পর্যায়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
এ বিষয়ে মালিহার বাবা জানতে পারলে পরবর্তীতে মাইলস্টোন স্কুল থেকে সরিয়ে মালিহাকে উত্তরা সাউথ পয়েন্ট স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেয়। এরপর অভিযুক্ত আসামী হারুন অর রশিদ(৫০) একদিন মালিহা কে সাউথ পয়েন্ট স্কুল এর সামনে থেকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে ড্রাইভার হারুন স্কুল বাসে তুলে নেয় এবং ড্রাইভার তুষার ধীরভাবে গাড়ী চালায়,এ অবস্থায় বাসের মধ্যে মালিহাকে বাসের সিট বিছিয়ে চিত করে শুয়াইয়া ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে ভুক্তভুগী মালিহা কাউকে কিছু না জানালে ও বর্তমানে মালিহার পিতা মাতা টের পায় মালিহা অন্তঃসত্ত্বা। এর পরই মালিহার বাবা তুরাগ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে মাইলস্টোন কলেজের প্রশাসনিক পরিচালক জনাব মাসুদ আলমকে প্রতিবেদক মুঠোফোনে ফোন করিলে তিনি জনায় এটা আমার কলেজের বিষয না।
উত্তরার সুশীল সমাজের একজন ব্যক্তি জানায়, রক্ষক যদি ভক্ষক হয়। আমাদের ছেলে মেয়েদের স্কুল-কলেজে দিয়ে নিরাপত্তা কোথায়। এই ব্যাপারে মাইলস্টোন কলেজের ট্রান্সপোর্ট সুপারভাইজার শাহাদাত হোসেনকে জিজ্ঞাসা করলে। তিনি মাসুদ আলম কে ফোন করার কথা বলেন।