স্টাফ রিপোর্টার :
আজকের কিশোর আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। যে বয়সে পড়াশুনা আর খেলাধুলা করে কাটানোর কথা সে বয়সেই অপরাধ, যদি কিশোরেরাই জড়িয়ে পরে অপকর্মে তবে কেমন হয়? অদ্ভুত মনে হলেও সত্য, ভোলার সদর উপজেলার ৮নং আলিনগর ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড এর কিশোর গ্যাং বাহিনীর প্রধান আঃ রহমান তুহিন, যারা জড়িয়ে রয়েছে নানা অপকর্মে। আলীনগর সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজখবর নিয়ে জানাযায় অপকর্মে জড়িয়ে থাকা কিশোরদের তান্ডবে স্থানীয় সাধারণ জনতা অতিষ্ঠ।
তবে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর হস্তে দমন করা কিশোর গ্যাং এর বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স তা হলে প্রশাসন নিরব কেন? আর অপরাধীর ক্ষমতার উৎস কোথায়।
এই তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তাদের ভিতর, কিশোর গ্যাং বাহিনীর প্রধান আঃ রহমান তুহিন, পিতা আবুল কালাম আজাদ ৭নং ওয়ার্ড আলীনগর ভোলা সদর। এদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের মামলা আছে ,তবে এদের নেতৃত্বে ডজন খানেক কিশোর আলো থেকে ঘোর অন্ধকারে শতো শতো অপকর্মের সাথে জরিয়ে আছেন। এছাড়াও এলাকায় বেশীরভাগ মারামারিতেও এদের হাত রয়েছে বলে অনেকে অভিমত প্রকাশ করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানায়, কিশোর গ্যাং এলাকার বিভিন্ন জায়গা জুড়ে বিস্তার লাভ করেছে। যে কারনে মারামারি থেকে শুরু করে মাদক সেবন ও বিক্রয়সহ নিন্দনীয় সব অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। বিভিন্ন এলাকার সাথে দ্বন্দ, সংঘর্ষ, গাছ ভাঙা ও গাছ কাটা, পুকুরে মাছ, জমির ফসল, গরু, ছাগল, মুরগী চুরি ও বিনষ্ট করার মত অপরাধে যুক্ত রয়েছে, সময়ের সাথে সাথে বেরে চলছে এদের দাপট। আমরা কিছু বলতে গেলেই আমাদের একটা না একটা নষ্ট বা ক্ষতি করবেই। যে কারনে সব মুখ বুঝে সহ্য করতে হয়।কিশোর গ্যাং এলাকায় একটি দল পাকিয়ে রয়েছে যে কারনে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন অনেকেই।
কিন্তু হিসেব করে দেখলে দেখা যায় মাত্র মাধ্যমিকের দরজা পর্যন্ত টপকিয়েছে। একমাত্র সমাজ ব্যবস্থা আর পিতামাতার উদাসীনতাই হচ্ছে প্রধান কারন কিশোর গ্যাং তৈরীর। আবার আত্মীয়স্বজনদের পশ্রয়ে অন্যায়ের মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে কিশোর গ্যাং ভোলা সদর ৮নং আলীনগর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের অনেকের দাবী কিশোর গ্যাং এর প্রধান আঃ রহমান তুহিন এর ঘনিষ্ঠ এক আত্মীয়র পরিচয় দিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তুহিন। কে সেই ব্যাক্তি ? জানাযায় কিশোর গ্যাং তুহিন এর এতো ক্ষমতার দাপট, রাজধানী ঢাকার পল্টন থানায় কর্মরত (এ এস আই মনির) তার সেলটারেই মাদক, মারামারি, ইভটিজিং, জমি দখল, ভয়ভীতি দেখানো সহ সকল অপকর্মের একমাত্র শক্তি [এ এস আই মনির] কোথাও কোনো সমস্যা হলে পুলিশের ক্ষমতা ব্যাবহার করা হয়।
এদিকে এ এস আই মনির এর সাথে মুঠোফোনে এই সমস্ত বিষয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে যায়, বলেন আমি এখন ব্যাস্ত আছি পরে আপনার সাথে কথা হবে ,বলে আর যোগাযোগ করেননি। এ বিষয়ে জাতীয় গণমাধ্যম কমিশন এর চেয়ারম্যান জনাব মোঃ মনির চৌধুরীর সাথে মতামত প্রকাশে জানান কিশোর গ্যাং এর মত অপরাধ একটি মারাত্মক অপরাধ। যেখান থেকে তৈরী হতে পারে হাজারো সন্ত্রাস। যাতে তাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে প্রশাসনিক ব্যাবস্থা নিয়ে সূরাহ করা দরকার।
তাই আমি ভোলা জেলা প্রশাসক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনুরোধ করছি এদের কঠোর হস্তে দমন করা দরকার। ভোলা নদী মাতৃক জেলা সেখানে বিভিন্ন জেলার সাথে ট্রানজিট স্থল তাই মাদকের সঙ্গে মিশে অবৈধ ভাবে মাদক সেবন ও বিক্রয়ের সাথে জরিয়ে পরছে। এবিষয়ে ভোলা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ মনির এর সাথে মুঠোফোনে কিশোর গ্যাং এর অপরাধের বিষয়ে জানতে চাইলে, জানান কিছু অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নিবো।