স্টাফ রিপোর্টার
বুধবার সকাল ১০টায় পার্লামেন্টে সংসদ সদস্য হিসাবে প্রথমে শপথ গ্রহণ করেন বর্তমান স্পিকার শিরীন শারমীন চৌধুরী। তিনি এই নির্বাচনে রংপুর-৬ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। এরপর তিনি শেখ হাসিনা ও অন্য সংসদ সদস্যদের একসাথে শপথ বাক্য পাঠ করান। জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র হিসাবে বিজয়ীরাও শপথ নিয়েছেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে দ্বাদশ সংসদ গঠিত হলো। বৃহস্পতিবার বিকালে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হবে বলে জানা গেছে। সংসদ নেতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো সংসদ নেতা হলেন তিনি। একাদশ সংসদের মতো এবারও মতিয়া চৌধুরীকেই সংসদের উপনেতা হিসেবে নির্বাচন করেছেন আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সদস্যরা। সেইসাথে, দ্বাদশ সংসদের চিফ হুইপ হিসেবেও থাকছেন নূর-ই-আলম চৌধুরী। বুধবার নূর-ই-আলম চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেন। বিরোধী দলের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বিরোধী দলের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয় নি।” “আজ তো কেবল আমাদের শপথ হলো। সংসদ ডাকার পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।” বাংলাদেশে সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয় পেয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিএনপি বিহীন সাতই জানুয়ারির নির্বাচনে ২২২টি আসনে বিজয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে জোটের নেতারা নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে আরও দুটি আসন পেয়েছেন। জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন আর কল্যাণ পার্টি পেয়েছে ১টি আসন। তবে প্রথমবারের মতো স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন রেকর্ড ৬২টি আসন, যাদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের নেতা। ওই নির্বাচন ২৯৯টি আসনে নির্বাচন হলেও গোলযোগের কারণে একটি আসনের ফলাফল প্রকাশ স্থগিত রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে শপথ পাঠের মাধ্যমে নতুন সরকার দায়িত্ব নেবে, যদিও বর্তমান সরকারের বেশিরভাগ সদস্যই বহাল থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানের নিয়মানুযায়ী, রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন প্রথম প্রধানমন্ত্রীকে, তারপর অন্যান্য মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন বলে জানা গেছে। নতুন মন্ত্রিসভায় সরকার প্রধান হিসেবে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাই থাকছেন। এবার নিয়ে তিনি পঞ্চমবারের মত প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ড। এছাড়া নতুন মন্ত্রিসভা কত সদস্যের হতে যাচ্ছে বা নতুন কারা মন্ত্রী হতে যাচ্ছেন, সে ব্যাপারে এখনও নির্দিষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।তবে বিগত সরকারের বেশ কয়েকজন প্রতিমন্ত্রী নির্বাচনে জিততে না পারায় এবার মন্ত্রিসভায় বেশকিছু নতুন মুখ যোগ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানের জন্য দেশি-বিদেশি মিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার অতিথিকে দাওয়াত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। সাতই জানুয়ারি নির্বাচনের পর গতকাল মঙ্গলবারই নির্বাচিত সদস্যদের গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।