আল আমিন হাসান
জামালপুর সরিষাবাড়ীতে মৃত আঃ কাদের (৩৮) হাসড়া মাজালিয়া গ্রামের মৃত আবুল কাশেম এর ছেলে হত্যার মূলহোতা কে গ্রেফতার করেছে র্যাব ১৪ । উল্লেখ থাকে যে , ২৩/১০/২০২৩ ইং তারিখ বিকাল অনুমান ০৩:৩০ ঘটিকার সময় তিনি ইজিবাইক নিয়ে বাড়ী হতে বাহির হন। উক্ত তারিখ গভীর রাত হয়ে গেলেও আঃ কাদের (৩৮) ইজিবাইক নিয়ে বাড়ীতে না ফেরায় তাহার পরিবারের সদস্যগন ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ দেখা যায়। পরের দিন বাড়ীতে না ফেরায় বাদীসহ পরিবারের লোকজন আত্নীয়-স্বজনের বাড়ী ও সরিষাবাড়ী থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করতে থাকে। কোথাও ভিকটিমের সন্ধান না পেয়ে সরিষাবাড়ী থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত একটি সাধারণ ডায়েরী করেন, যাহার ডায়েরী নং-১১৯৩, তারিখ-২৪/১০/২০২৩ ইং। একপর্যায়ে, গত ২৪ অক্টোবর ২০২৩ ইং তারিখ বিকাল অনুমান ০৩:৩০ ঘটিকার সময় সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ ভিকটিমের ভাতিজাকে মোবাইল ফোনে জানান যে, সরিষাবাড়ী থানাধীন চাপারকোনা পোষ্ট অফিসের সামনে ঝিনাই নদীতে একটি ভাসমান লাশ পাওয়া গিয়াছে। উক্ত সংবাদ পেয়ে ভিকটিম আঃ কাদের (৩৮) এর পারিবারের সদস্যগন দ্রত ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত দেহ সনাক্ত করেন এবং সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ভিকটিমের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত শেষে ভিকটিমের মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য জামালপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। এই হত্যাকান্ড নিয়ে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এই ঘটনায় ভিকটিমের ভাতিজা মোঃ রাসেল মিয়া (৩৩), পিতা-মোঃ আয়নাল হক, সাং-হাসড়া মাজালিয়া, থানা-সরিষাবাড়ী, জেলা-জামালপুর বাদী হয়ে জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-১৬, তারিখঃ ২৬/১০/২০২৩খ্রি., ধারাঃ ৩০২/২০১/৩৭৯/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। উক্ত ঘটনার পর র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের প্রতিনিধি উক্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ছায়া তদন্ত শুরু করে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রাখে। বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে আসামীকে চিহ্নিত এবং অবস্থান নিশ্চিত করে ২৩/১২/২০২৩ ইং তারিখ রাত্রী অনুমান ০০:০৫ ঘটিকায় র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোঃ আবরার ফয়সাল সাদী এর নেতৃত্বে র্যাবের একটি আভিযানিক দল জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী থানাধীন আরামনগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ নান্নু মিয়া নান্দু (৫০), পিতা-মৃত মুজিবর রহমান মুন্সি, সাং-চর ধানাটা, থানা-সরিষাবাড়ী, জেলা-জামালপুর‘কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ধৃত আসামী মোঃ নান্নু মিয়া (৫০) জিজ্ঞাসাবাদ ও আনুষাঙ্গিক তথ্য প্রমানে জানা যায় , ধৃত আসামীসহ বরিশাল জেলার রাকিব ও সোহেল, নারায়নগঞ্জ জেলার রাজু, শরিয়তপুর জেলার হালিম এবং জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী থানার লিটন ঘটনার আগের দিন স্থানীয় একটি হোটেলে অবস্থান করে এবং ইজিবাইক ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন ভিকটিম মৃত আঃ কাদের এর ইজিবাইকে টার্গেট করে যাত্রীবেশে তার ইজিবাইকে উঠে। পরবর্তীতে, রাত অনুমান ১১.৩০ ঘটিকায় ঝিনাই নদীর পশ্চিম পাশে চাপারকোনা পোষ্ট অফিসের সামনে পৌছালে উল্লেখিত আসামীরা মিলে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ভিকটিমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরবর্তীতে, তারা ইজিবাইকটি নিয়ে বরিশাল এলাকায় বিক্রয় করে। ছিনতাইকৃত ইজিবাইকটি উদ্ধারের চেষ্টা চলমান রয়েছে।
আটককৃত আসামীকে জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী থানায় সূত্রোক্ত মামলায় হস্তান্তর করা হয়েছে ।