এম এল এম জাফরের বিরুদ্ধে চাকুরি দেওয়ার নামে অভিনব প্রতারণার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি :-

সিভিল এভিয়েশনের টেলিফোন অপারেটর রফিক ও তার ভাই এম এল এম জাফরের বিরুদ্ধে চাকুরি দেওয়ার নামে অভিনব প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে

ক্যাবের টেলিফোন অপারেটর রফিক ও এমএলএম ব্যবসায়ী জাফরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের ১৬ বছর অবৈধভাবে ইমাম খতিব সেজে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার, সেই টাকা দিয়ে রফিকের ভাই জাফর ডেবলোপারের ব্যবসার নামে এমএলএম ব্যবসা খুলে হাজার হাজার পরিবারকে করেছে নিঃস্ব।
ভুক্তভোগী মাওলানা লোকমানের নিকট থেকে ৮ লাখ টাকা নেয় তাকে সিভিলিয়েশন আমতলা মসজিদে ইমামতির চাকরি দেবে বলিয়া , কিন্তু চাকরি দিতে না পারিয়া বেশ কিছুদিন ঘোরাঘুরির পর বাধ্য হয়ে সাংবাদিকদের চাপের মুখে লোকমানের ৮ লাখ টাকার মধ্যে ২ লাখ টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয় , ভুক্তভোগী লোকমান দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার হওয়াতে বিষয়টি প্রাণের বাংলাদেশের সম্পাদক নিজে টাকা উদ্ধারের কাজে নামলে , দুই পক্ষের সম্মতিতে টাকার জামিনদার হয় পত্রিকার সম্পাদক।

পরবর্তীতে প্রতারক রফিক ও জাফর দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদককে টাকা দেওয়ার সময় দুই লক্ষ টাকার বিষয়টি ভিডিও করে এবং বাকি টাকার চেক দিয়েছে বলে ভিডিওতে উল্লেখ আছে। পরবর্তীতে ব্যাংকে গেলে ইনসাফিশিয়ান ফান্ড থাকাতে টাকা উত্তোলন করা সম্ভব হয় না। অন্যদিকে প্রতারক জাফর ও রফিক প্রাণের বাংলাদেশের সম্পাদককে টাকা দিয়েছি বলে মিথ্যা বিভ্রান্ত ছড়ায়। প্রতারকরা টাকা না দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করছে এবং বিএনপি নামধারী কিছু নেতাকর্মীদের দিয়ে মব সৃষ্টি করে পত্রিকার সম্পাদককে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে । খোঁজ নিয়ে জানা যায় রফিকের ভাই জাফর এম এল এম ব্যবসা করে। বিভিন্ন জমি নিয়ে ডেভলপারের নামে শেয়ার বিক্রি তার কাজ। একজন ভুক্তভোগীর পাওনা টাকা ফেরতের বিষয়টি ভিডিও করিয়া বিভিন্ন কথা বলিয়া সম্পূর্ণ বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য ষড়যন্ত্রের নীল নকশা করে মাওলানা রফিক ও জাফর । ইতিমধ্যে মাওলানা রফিকের বিরুদ্ধে চাকুরী দেওয়ার প্রতারণার জন্য সিভিল এভিয়েশনে অভিযোগ দাখিল করেন একজন ভুক্তভোগী ।

কর্তৃপক্ষ মাওলানা রফিককে শোকজ করে এবং তার কাছে জবাব চেয়ে নোটিশ করে। তারই সূত্র ধরে সংবাদের প্রতিবেদক অনুসন্ধান করলে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের আমলে যারা আওয়ামী লীগের পা চেটে চলতে পেরেছিল তারাই রীতি মতো আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে । তাদের মধ্যে অন্যতম রফিক আহমেদ যিনি নিজেকে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রিত ১ নং আমবাগান জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে পরিচয় দেয়। প্রকৃতপক্ষে রফিকের চাকুরী হয় বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষে টেলিফোন অপারেটর হিসেবে। তিনি ছিলেন মূলত আওয়ামী লীগের দোসর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে তার সখ্যতা ছিল গভির ।

ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার সাথে সাথে তিনি সিভিল এভিয়েশন নিয়ন্ত্রিত ১নং জামে মসজিদ দখল করিয়া ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব নেয় সম্পূর্ণ আইন বহির্ভূতভাবে। তিনি মাদ্রাসা লাইনে কিছু লেখাপড়া করাতে এহেন ঘৃণ্য কাজটি তার জন্য সহজলভ্য হয়। দীর্ঘ ১৭ বছর একজন টেলিফোন অপারেটর তার প্রাপ্ত দপ্তর বাদ দিয়া কিভাবে মসজিদের ইমামতি করেন খতিবের দায়িত্ব পালন করেন সরকারি কোয়াটার সহ একজন ইমাম খতিবের সকল সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেন বিষয়টি তদন্ত-পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া সময়ের দাবি বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এলাকাবাসীর কয়েকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংবাদের প্রতিবেদককে জানান তার বিরুদ্ধে দুদক সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলো ব্যবস্থা নিলে বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল। তার অবৈধ কোটি কোটি টাকা আয় দিয়ে তার ছোট ভাই জাফর এখন বিশাল বিল্ডার্স কোম্পানির মালিক।

সিভিল এভিয়েশনে এরকম কোন আইন আছে কিনা সরকারিভাবে কোন দপ্তরে টেলিফোন অপারেটর হিসেবে চাকরি হলে সে তার সংশ্লিষ্ট কাজ বাদ দিয়ে সম্পূর্ণ আলাদা একটি দপ্তর ইমাম খতিবের মত জায়গায় কিভাবে সে কাজ করে এ বিষয়ে কারা কারা দুর্নীতির সাথে জড়িত ছিল এ বিষয়ে তদন্ত করা এখন অতীব জরুরি হয়ে উঠেছে। আওয়ামী লীগের আমলে এরকম কোন কোন দপ্তরে কর্মচারীরা দুর্নীতি করেছে তাও এখন খতিয়ে দেখার সময় হয়েছে। রফিক ও জাফর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় প্রচন্ড দাপটে উত্তরা এয়ারপোর্ট কাওলা সহ সর্বত্র ছিল তাদের বিচরণ চোখে পড়ার মতো। ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গুপ্তচর হওয়ার সুবাদে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ তার দীর্ঘ এতগুলো বছরেও কিছুই করতে পারেনি , উল্টো আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উদ্বোধন সহ আওয়ামী রাষ্ট্রীয় প্রোগ্রামে রফিক আহমেদ কোরআন তেলাওয়াত করতেন।

তিনি ইমাম খতিব সাজিয়া শুরু করেন তদবির বাণিজ্য বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন লোকের চাকরি দেওয়া টেন্ডার পাস করিয়ে দেওয়া অন্যদিকে ইমাম খতিবের সুবিধা নিয়ে বনে যায় কোটি কোটি টাকার মালিক। এ বিষয়ে সিভিল এভিয়েশনে যোগাযোগ করলে জানা যায় রফিকের বিরুদ্ধে রয়েছে চাকুরী দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাধের একাধিক অভিযোগ । তার বিরুদ্ধে সিভিলিয়েশন থেকে নোটিশ করা হয়েছে চাকরি বাণিজ্যের বিষয়ে। ১৭ বছরের অবৈধ এই ইমাম খতিব বিভিন্ন জায়গায় ক্রয় করেন ফ্ল্যাট,প্লট । ছোট ভাই জাফরকে দিয়ে শুরু করায় ডেভলপারের ব্যবসা জাফরও খিলক্ষেতে একটি মসজিদে ইমামতি করে বলে জানা যায় ।

তাদের আচার-ব্যবহার পোশাক বেশভূষা ও গাড়িতে চলাফেরা দেখলে মনে হবে সৌদি বাদশার কোন আত্মীয় এইমাত্র বিমান হইতে বাংলাদেশে নেমেছে। একজন ভুক্তভোগী ভুয়া ইমাম খতিব রফিক আহমেদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নিকট এই মর্মে অভিযোগ দেন যে তাহাকে চাকুরি দিবে বলিয়া রফিক টাকা আত্মসাৎ করিয়াছে কর্তৃপক্ষ সত্যতা উদঘাটন করিয়া তদন্ত করিলে রফিক টেলিফোন অপারেটর হয়ে ইমাম খতিব সাজার বিষয়টি প্রকাশ পাইলে তাহাকে শোকজ করে এবং তার নিকট ব্যাখ্যা চাহিয়া নোটিশ করে সেই সাথে তাকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঢাকা হইতে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সিলেটে টেলিফোন অপারেটরের চাকরিতে বদলি করা হয়।

কিন্তু রফিক যোগদান করতে বিলম্ব করিলে অপর একটি অফিস আদেশের মাধ্যমে তাকে ৩০-৪-২০২৪ তারিখ তাৎক্ষণিক অবমুক্ত করা হয়। যার স্মারক নং ৩০,৩১,০০০,২২১,১৪,২৭১৬,৪৫,২৩/১(৬) মূলে অভিযোগ বিবরণীর মাধ্যমে ২০২১ বিধি ৪৯(গ) অনুযায়ী পলায়নের পর্যায়ভূক্ত একটি আদেশ প্রেরণ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে সংবাদের প্রতিবেদক অনুসন্ধান করিলে রফিকের বিরুদ্ধে যেখানে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত সেখানে তার স্বাক্ষরিত একটি আবেদনে দেখা যায় বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সদস্য প্রশাসন বরাবর তার আবেদন টেলিফোন অপারেটরের পরিবর্তে পথ সৃষ্টিপূর্বক ১ নং আমবাগান জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব সিনিয়র ইমাম হিসেবে তাকে নিয়োগ দেওয়া হোক।

এই আবেদনের বিষয়টি যখন আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় ছিল ভেবেছিল যা চাইবে তাই পাবে তাহার লোলুভ দৃষ্টিতে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে নাজেহাল করিবার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে সে মেতে উঠেছিল। তার কিছুদিন পরই জুলাই আগস্ট এর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ডাক ঢোল বাজিতে শুরু করে অতঃপর আওয়ামী ফ্যাসিস্ট এর গুপ্তচর রফিকের অবৈধ স্বপ্ন এবং তাকে পৃষ্ঠপোষক দেয়া বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কিছু অসাধু আওয়ামী সরকারের দোসর কর্মকর্তাদের মিথ্যা সাম্রাজ্য ভাঙ্গিয়া পড়িলে এবং চাকরি হইতে পলায়ন করিলে রফিকের সকল স্বপ্ন মাটিতে পড়িয়া চুড় চুড় হইয়া যায় ।

অতঃপর বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ফ্যাসিস্ট মাদার ছাত্র জনতার রক্ত খাওয়া ডাইনি হাসিনার পলায়নের মধ্য দিয়ে একটি দীর্ঘ ষোল বছরের অবৈধ ইমাম খতিবের গল্পের সমাপ্তি ঘটে । কিন্তু এসব দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি দোসরা ছাত্র জনতার হত্যার পৃষ্ঠপোষকরা আইনের আওতায় না আসায় গুপ্তচর বৃত্তির পুনরুদ্ধারে ফ্যাসিস্টদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে । আমাবস্যা রাতের কালো আঁধারে শিয়ালের বীভৎস ডাকের মধ্য দিয়ে তাদের বীভৎস চিৎকারে ক্ষণে ক্ষণে পানি লাগবে পানি ডেকে ওঠা মুগ্ধ এবং বন্দুকের সামনে হাত বাড়িয়ে দেওয়া সাঈদের আত্মা কেঁপে ওঠে তাদের ভয়ংকর চিৎকারে ।

Leave a Reply