কেন্দুয়ায় ১১ প্রভাষকের নামে নকল সার্টিফিকেট দিয়ে চাকুরীর অভিযোগ

সৈয়দ সময় ,নেত্রকোনা :

নেত্রকোণার কেন্দুয়া সরকারি কলেজের ১১ জন প্রভাষকের নামে নকল সার্টিফিকেট ব্যবহার করে চাকরি ও পদোন্নতির অভিযোগ উঠেছে।

এসব প্রভাষকরা ভুয়া সার্টিফিকেট ব্যবহার করে কেন্দুয়া সরকারি ডিগ্রী কলেজে নিয়োগ পেয়েছেন। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রভাষকরা অনেকেই তৎকালীন বিএনপি জামাত জোটের আমলে গঠিত কলেজ ম্যানেজিং কমিটি কতৃক নিয়োগপ্রাপ্ত। দুই একজন পরবর্তী সময়ে নিয়োগ পেলেও মোটা অংকের লেনদেনের মাধ্যমে সম্পুর্ণ জাল ও অনির্ভরযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহীত নকল কাগজপত্রাদি সন্নিবেশিত করে চাকরি গ্রহনের সুযোগ লাভ করেন। ফলে প্রকৃত যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছেন এবং শিক্ষার মান প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।

অভিযুক্ত ভুয়া সার্টিফিকেটধারী প্রভাষকরা হলেন, বদিউজ্জামান বকুল (ইংরেজী), বোরহান উদ্দীন (বাংলা), আব্দুল কাদের (বাংলা), ফারুক আহমেদ তালুকদার (রাষ্ট্রবিজ্ঞান),এম এ রুবেল (হিসাববিজ্ঞান),সুমন কুমার বনিক (ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি), মোসাঃ সাবিকুন্নাহার (দর্শন), নমিতা পোদ্দার (দর্শন), আহম্মদ আবদুল্লাহ হারুন (উদ্যোক্তা উন্নয়ন), মোঃ শফিকুল আলম (কম্পিউটার অপারেটর), বিধান কর (কম্পিউটার অপারেটর)।

অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ময়মনসিংহ অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ডের পরিচালক প্রফেসর এ.কে.এম আলিফ উল্লাহ আহসান ও উপ পরিচালক ফেরদৌস আহমেদ সকাল আনুমানিক ১০ টার দিকে কেন্দুয়া সরকারি ডিগ্রী কলেজে এসে অভিযুক্তদের সকল সার্টিফিকেট প্রাথমিক ভাবে যাচাই-বাছাই করেন।

এ সময় গণ-মাধ্যম কর্মীদের তিনি জানান, প্রাথমিক তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা মেলেনি তারপরও বোর্ড কতৃক সার্টিফিকেট পুনরায় যাচাই বাছাই করা হবে।এর জন্য আমাদের আরো কিছু সময় প্রয়োজন।

অপরদিকে অভিযোগকারী এড.হাবিবুর রহমান চৌধুরী সাথে কথা বললে তিনি জানান,আমি অভিযোগ করিনি। কে বা কারা আমার নাম ব্যবহার করে অভিযোগটি করেছে তা আমার বোধগম্য নয়।

অভিযুক্ত এক প্রভাষক আব্দুল কাদের নয়ন বলেন,আগেও আমাদের নামে এমন অভিযোগ করেছে কিন্তু সত্যতা মেলেনি। এখনও কে বা কাহারা আমাদের হেয় করার উদ্দেশ্যে এমন অভিযোগ করেছে। আমরা এই অভিযোগের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

কেন্দুয়া সরকারি কলেজের সহকারি অধ্যাপক শফিউল আলম খসরু বলেন,অভিযোগের বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

এদিকে সাধারণ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

Leave a Reply