মোঃ নজরুল ইসলাম বিশেষ প্রতিনিধি
বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পণ্য চালানটি জব্দ করেন। এ সময় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পণ্য চালানটির (ইনভেন্টি) করে ফিস মিল ব্যাতিত বস্তায় লুকানো ৬ হাজার ৮শ ছিয়াশি কেজি শুটকি মাছ পায়। কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, বেনাপোল বন্দরে ফিস মিল ইনগ্রিডেন্টস ঘোষনা দিয়ে ভারতীয় ৩ টি (ট্রাক নং-ডাব্লু-বি-২৩-সি-১২৪১,ডাব্লু-বি-২৫-এফ-১৬৯২ ও ডাব্লু-বি-২৫-এফ-৭৭২৩) গাড়িতে ২০১৪ বস্তা ফিস মিল ইনগ্রিডেন্টস আমদানি করে শার্শার শিকারপুর বাজারের আমদানিকারক প্রতিষ্টান মেসার্স শামিম এন্টারপ্রাইজ ।
যাহার-বি/ই-৯৩৪৮৩, তারিখ-২৯/ ১০/২৪ইং,এলসি নং-০৯১৪২৪০১০৪৬৪। আমাদানীকারকের চাহিদা মোতাবেক ভারতের রপ্তানীকারক আরএসটি ইনোভেটিভ সলুশন এলএলপি,ইন্ডিয়া ৩টি গাড়িতে ৫০ হাজার ১৬৪ কেজি ফিস মিল ইনগ্রিডেন্টস নামে বাংলাদেশে রপ্তানি করে । সে অনুযায়ী পণ্যটি ছাড় করাতে আমদানিকারকের প্রতিনিধি পেরেন্টস ইন্টারন্যাশনাল বিসনেস সেন্টার পণ্য খালাশের দায়িত্ব নেন। সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধি কর্তৃক বন্দর হতে পণ্য খালাস নেওয়ার পূর্বেই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ স্থলবন্দরে গিয়ে পণ্য চালানটি জব্দ করেন।
জব্দকৃত পণ্য চালানের ৩টি গাড়িতে ইনভেন্টি করে ফিস মিল ইনগ্রিডেন্টস পণ্যর মধ্যে লুকানো ৬,৮৮৬ কেজি শুকনো শুটকি মাছ পায় কাস্টমস্। এ সময় সরেজমিনে স্থলবন্দরে আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধি কাওকে পণ্যর কাছে না পেয়ে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বেনাপোল কাস্টমসের পরীক্ষণ রাজস্ব কর্মকর্তা শেখ জাহিদুর রহমান জানান, ভারতীয় ৩টি গাড়িতে ২০১৪ বস্তা ফিস মিল ইনগ্রিডেন্টস কায়িক পরীক্ষণে ঘোষিত ওজনের ভিতররে ৬৮৮৬ কেজি শুটকি মাছ পাওয়া যায়। এই শুটকি মাছ কুয়েট ল্যাব বা অন্য কোন সরকারী ল্যাবে রাসায়নিক পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে এটা খাওয়ার উপোযোগী কি না। আটককৃত অবৈধ পণ্য চালানটির বিষয়ে কাস্টমস আরও গভীর তদন্ত করছে। পরবর্তীতে মিস ডিক্লারেশন ও অবৈধ পণ্য আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এর বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।