শিক্ষক মফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে গাজা ফেন্সিডিল সেবন ও জমি দখলের অভিযোগ

নাজমুল আলম মুন্না:


খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার ধামরাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও মৃত আতিয়ার রহমানের ছেলে জি,এম মফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে নিয়মিত গাজা ও ফেন্সিডিল খাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মফিজুলের আপন বড়ভাই ওহিদুজ্জামান ওহিদ অভিযোগ করে বলেন আমার ছোট ভাই মফিজুল স্কুল শিক্ষক হয়েও সে নিয়মিত গাজা ও ফেন্সিডিল খায়। গাজাসহ মফিজুল কয়েকবছর আগে পাইকগাছা থানায় আটক হয়েছিল তখন আমি তাকে ছাড়িয়ে এনেছিলাম। এছাড়া প্রায় দুবছর আগে সাতক্ষীরায় ফেন্সিডিল সেবন করে মোটরসাইকেলে করে ফেন্সিডিল বহনের অভিযোগেও পুলিশের হাতে আটক হয়।

এছাড়া আমার দুই বিঘা ৫ কাঠা জমির হারি (লিস) নিয়ে ৭/৮ বছর হারির টাকা না দিয়ে গায়ের জোরে অবৈধভাবে দখল করে ব্যবসা করে খাচ্ছে অথচ মফিজুল আমার সাত বছর যাবত হাঁরির ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা দেয়না।

জমি ফেরত ও হারির টাকা চাইতে গেলে আওয়ামীলীগের নেতাদের দিয়ে এতোদিন হুমকি-ধমকি দিয়েছে।


এতোদিন আমি ভয়ে মুখ খুলতে পারিনি। ভূক্তভোগী ওহিদুজ্জামান এ প্রতিবেদক কে জানান এবিষয়টি নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শাহাজাদা কয়েকবার বসাবসি করে মিমাংসার চেষ্টা করেছে কিন্তু মফিজুল কিছুতেই মানতে নারাজ।

এবিষয়ে চাঁদখালী ইউপি চেয়ারম্যান শাহাজাদা আবু ইলিয়াস বলেন ওহিদুজ্জামান আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে বিষয়টি নিয়ে আমি দু’মাস আগে আমার পরিষদে দুইভাইকে ডেকেছিলাম মিমাংসা করার জন্য। সবকিছু শোনাবোঝার পর মফিজুল হারির টাকা ও জমি ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ দিলে সমস্যা মিটিয়ে ফেলার জন্য মফিজুল ২ সপ্তাহ সময় নিয়েছিলেন।

কিন্তু আমি খবর পেলাম মফিজুল বিষয়টি না মিটিয়ে সেখানে নতুন করে বিল্ডিং করেছেন। বিষয়টি নিয়ে কথা হয় অত্র বিদ্যালয়ের জমি দাতা ও প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তা গাউসুল হকের সাথে তিনি বলেন ওদের পারিবারিক সমস্যা মফিজুল খারাপ প্রকৃতি লোক, ওরা সবাই সেলফিস, ওরা কেউই বেশি ভাল লোক না তাছাড়া সামাজিকভাবে মানমর্যাদা ওয়ালা কেউ না।

তবে মফিজুলরা অনেক সম্পদের মালিক তবুও যায়গা জমি, দোকানপাট দখল নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ লেগেই আছে। এছাড়া গাজা ফেন্সিডিল খাওয়ার ঘটনা সত্য ।

এদেশে লেখাপড়াতো একেবারেই শেষ। ছাত্র-ছাত্রীরা ও শিক্ষকরা স্কুলে আসে আর দুপুর হলেই চলে যায়।
এবিষয়টি খতিয়ে দেখতে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, খুলনা জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগীরা। অনুসন্ধান চলছে বিস্তারিত জানতে পারবেন আগামী পর্বে।

Leave a Reply