সৈয়দ সময় , নেত্রকোনা :
নেত্রকোনায় চোরাই পথে আনা ভেজাল প্রসাধনী বিক্রির অভিযোগে দোকানগুলোতে ভোক্তা অধিকারের অভিযান পরিচালনাকালে
উপস্থিত নারী শিক্ষার্থীদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে দোকান মালিক কর্মচারীরা হামলা চালালে
ঘটনাস্থলে গিয়ে সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ।
মঙ্গলবার দুপুরে নেত্রকোনা জেলা শহরের বড় বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার নিন্দা জানান , বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা ।
প্রত্যক্ষদর্শী , দোকান মালিক , শিক্ষার্থী ও ভোক্তা অধিকার সহ স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে , দীর্ঘদিন ধরে নেত্রকোনার বড়বাজার এলাকায় কসমেটিকস কর ফাঁকি দিয়ে চোরাই পথে আসা বিভিন্ন বিদেশী প্রসাধনী ও ভেজাল পণ্য বিক্রয় করে আসছিলো। প্রায় সময় নারীরা এসকল ভেজাল প্রসাধনী কিনে প্রতারিত হচ্ছেন এবঙ ত্বকেরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ।
এমন খবরে মঙ্গলবার দুপুরে ভোক্তা অধিকারের নেত্রকোনার সহকারী পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা আব্দুস
সালামের নেতৃত্বে বিভিন্ন দোকানে অভিযান পরিচালনা শুরু করে। অভিযান চালাকালেই
খবর পেয়ে অন্যান্য চোরাই কসমেটিকস ও মালামাল রাখা দোকানিরা দ্রুত দোকানপাট বন্ধ করে দেয় । পুরো বড় বাজার এলাকায়
একটি উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে
দোকান মালিক কর্মচারীদের সঙ্গবদ্ধ দল ।
এ সময় সড়কে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের প্রতি
ক্ষিপ্ত হয়ে দোকান মালিক ও কর্মচারীরা হামলা চালায়। নারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার খবর পেয়ে সেনাবাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে দোকান মালিকদের পক্ষে সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঝন্টু সরকার অভিযোগ করেন , বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীরা এসে দোকান মালিক ও কর্মচারীদের হয়রানি করছে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দোকানে ভেজাল পন্য বিক্রি করে এবঙ দামও অনেক বেশী আদায় করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে । সীমান্ত দিয়ে সরকার কে কর ফাঁকি দিয়ে ভারতের নানান ভেজাল পন্য এনে বিক্রি করে ।
এতে করে ভূক্তভোগী ক্রেতাদের চর্ম রোগসহ
বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছেন । আমাদের বক্তব্য ও দাবি , সকলের সামনে বন্ধ করে ফেলা দোকানগুলোতে অভিযান দিলেই সবধরণের ভেজাল পন্য ধরা
পড়বে । জনগন এই প্রতারণা থেকে উপকৃত হবে।সরকারও তার ন্যায্য কর- ভ্যাট পাবে । তাদের সাথে আমাদের কোন ব্যক্তিগত
আক্রোশ নেই । যাতে করে আমরা প্রতারিত না হই সেই জোড় দাবি আমাদের।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নেত্রকোনার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম জানান , ভেজাল পণ্য বিক্রিতে নিরুৎসাহিত করতে হবে এবং
ভেজাল পণ্য বাজারজাত বন্ধ করতে আমাদের আরো দায়িত্বশীল পরিশুদ্ধ হতে হবে তবেই দেশটা আরো সুন্দর হবে। নিয়মিত
সচেতনতা কর্মসূচি চলছে।
তারপরেও যারা
ভেজাল পণ্য বিক্রি করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভোক্তারা যেন
কোনভাবেই হয়রানি না হন সে লক্ষ্যে কাজ করছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে ।
এ ব্যাপারে সকলের সচেতনতা ও ভেজাল পণ্য ব্যবহারে পরিচয় দিতে হবে ।