অথই নূরুল আমিন
মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন উপদেষ্টাসহ সকল উপদেষ্টাগণের এই মর্মে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে, গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ৮ আগষ্ট সহ এর পরবর্তী সময়ে উপদেষ্টা পদে আপনারা যারাই শপথ নিয়েছেন।
তখন থেকেই সারাদেশের শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা অথবা ধরে আপনাদের দায়িত্ব। এই দেশের বা সমাজের শান্তি শৃঙ্খলা যত ভালো থাকবে। ততই থাকবে আপনাদের সুনাম।
সেই মর্মে আপনাদের সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, গত ৫ আগষ্টের পর থেকে দেশে যেমন এসেছে রাজনৈতিক পরিবর্তন। সাথে শুরু হয়েছে দখল বাণিজ্য। এককথায় টাকার লেনদেন। যাকে বলে চাদাবাজী।
প্রথমেই ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির কথাই বলছি। এখানে একটা শত কোটি টাকার ব্যবসা রয়েছে। যার নাম ময়লা নিস্কাশন। এককথায় বাসাবাড়ি থেকে যে ময়লা নেয়া হয়। এখানে সাধারণ প্রতিটা রুম থেকে একশ টাকা থেকে জায়গা বিশেষ তিনশ এমনকি কোনো কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা কারখানা হোটেল রেস্টুরেন্ট রেস্তোরাঁ থেকে মাসে পাঁচ ছয় হাজার টাকাও নেয়া হয়ে থাকে।
উল্লেখিত টাকার একটি টাকাও সিটি করপোরেশন কোনো ফান্ডে বা সরকারি কোনো ফান্ডে এই টাকা কখনও জমা হয় না। এই টাকাটা সম্পূর্ণ ভোগ করে মালিক। যার যতটুকু এরিয়া আছে। এগুলোর অনুমতি ও খুব দুর্বল থাকে। একটি বানানো কমিটি বা একটা সংগঠনের ভূয়া নামে বরাদ্দ করা হয়। যা দেখার কেউ কখনও ছিলনা।
কিন্তু সরকার পতনের সাথে সাথে দেশের ঢাকা উত্তর দক্ষিণ সিটি সহ সব সিটি গুলোর এই ময়লার কাজ নব্বই ভাগই হাত বদল হয়ে গেছে। অনেকেই জোর করেই তাদের দখলে নিয়ে গেছে। যারা এখন এই ময়লার লাইন গুলো চালাচ্ছে। ওদের নামে কোনো বরাদ্দ এখনো হয়নি। আদৌ তাদের নামে ভবিষ্যতে সিটি করপোরেশন বরাদ্দ দিবে কি না। তাও সন্দেহ আছে। তার কারণ প্রত্যেক সিটি করপোরেশনের কিছু বিধান ও কিছু শর্ত থাকে অনুমতি দেয়ার ক্ষেত্রে। এছাড়া লাইন গুলো প্রকৃত মালিকগণের হাত ছাড়া হওয়ার পর থেকে। অনেক এলাকায় নিয়মিত ময়লা বাসাবাড়ি থেকে নেয়া হচ্ছে না। সমগ্র শহরের বেশিরভাগ এলাকায় একই অবস্থা। আজকে যারা অবৈধভাবে বিভিন্ন বাসা বাড়ি ময়লা সরানোর নামে আরো অতিরিক্ত টাকাও জুড়ে দিয়েছে । যাকে বলে জোর করে। এর মধ্যে নীরিহদেরকে হুমকি ধামকি প্রদান করা হচ্ছে। যার ফলে শহরের নিম্ন আয়ের জনগণ হতাশায় ভুগছে।
আশা করি উল্লেখিত বিষয়ে মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সহ সকল উপদেষ্টা গণের সুদৃষ্টি কামনা করছি। এহেন নিপীড়ন বেশি লম্বা হলে জন মনে জনরোষের সৃষ্টি হতে পারে।
অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিস্ট ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী
৩০/০৮/২০২৪