আল আমিন সরদার সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধিঃ:
দলিল লেখক সমিতি দালাল সিন্ডিকেটের হাতে অতিষ্ঠ উপজেলার সেবা প্রত্যাশীরা। সরকারি নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দলিল লেখক সমিতির খেয়াল খুশিমত স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের নানা অনিয়ম দুর্নীতিতে ভরা সাবরেজিস্ট্রি অফিস। ঘুষ ছাড়া দলিল রেজিস্ট্রি হয় না। দলিল প্রতি ন্যূনতম ৩ হাজার টাকা দায়িত্ব রত সাব রেজিস্টার এবং অফিসের বড় বাবুদের আলাদা অফিস খরচ না দিলে দলিল হয় না।
এ যেন “মিলে মিশে করি কাজ, হারিজিতি নাহি লাজ “সাতক্ষীরার তালা উপজেলা ইসলাম কাটি সাব রেজিস্টার এবং অফিসের বড়বাবু যোগাসাযোগে দুর্নীতির মহোৎসব চলে আসছে বছরের পর বছর। দীর্ঘদিন ধরে তালা ইসলামকাটি সাব রেজিস্টার না থাকায় সাতক্ষীরা জেলা সাব রেজিস্টার সপ্তাহে প্রতি বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তালা ইসলামকাটি সাব রেজিস্টারের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
সাধারণ ভূমি সেবা গ্রহীতাদের নালিশ জানানোর কোন জায়গা নাই। গত বুধ এবং বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গেলে এমন চিত্র উঠে আসে সাংবাদিকদের সামনে। নাম না প্রকাশ করার সত্বে একাধিক সেবা গ্রহীতা, দলিল লেখকরা সাংবাদিকদের জানান ঘুষ দুর্নীতির সঙ্গে অফিসের কিছু দুর্নীতিবাজ মুহুরি ও বড়বাবুর, সিন্ডিকেট, সাবরেজিস্টার অফিস জড়িত আপনারা বলবেন কাকে? তালা ইসলামকাটি কিছু দুর্নীতি বাজ মুহুরী সাহেবের কথামতন সাব রেজিস্ট্রি অফিসের বড় বাবু চলেন।
তারা যেভাবে বলবেন সাব রেজিস্টার সেইভাবে চলবেন এবং সেই রূপে চালিয়ে যাইতেছে। এখানে সরকারি কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে জমির শ্রেণি পরিবর্তন দেখিয়ে সাব কোবলা দলিলের পরিবর্তে হেবা বিল এওয়াজ, ওসিয়াত নামা, ঘোষণাপত্র, আমমোক্তা নামা দলিল রেজিস্ট্রি করে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সাব রেজিস্টার ও বড় বাবুর সিন্ডিকেটের হাতে চলে যাচ্ছে বছরে কোটি কোটি টাকা। সাব রেজিস্টার এর প্রত্যক্ষ মদদে ও সহযোগিতায় সমিতির দালাল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাধ্যতামূলক দলিল প্রতি ৩ হাজার টাকা শেরেস্তার নামে অতিরিক্ত ঘুষ আদায় করে সাবরেজিস্টার কে দিতে হয়। আবার দলিল লেখক সমিতি মসজিদ বিভিন্ন জাতীয় দিবস প্রোগ্রাম, সাংবাদিকদের নাম ভাঙ্গিয়ে টাকা তুলে আত্মসাৎ করে বড় বাবুসহ আরো কিছু দুর্নীতিবাজ মুহুরী নিজেরা ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়ে থাকে।
এভাবে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সমিতি অফিসের অনেকে লক্ষ্, কোটিপতি বনে গেছে। অফিসের । সরকারি নিয়ম এবং অফিসের নোটিশ বোর্ডের তালিকা মোতাবেক একটি কোবলা দলিল সম্পাদন করতে ১. ৫. /.সর্বোচ্চ ২ কোটি পর্যন্ত। উৎস কর, ভ্যাট বাদে অর্থাৎ ১লক্ষ টাকার দলিলে ১৫,শত টাকা নির্ধারিত থাকলেও উৎস কর, ভ্যাট সহ একজন সেবা গ্রহীতার নিকট হতে ১৩ থেকে ১৫ হাজার টাকা আদায় করে থাকে। বড়বাবুর চাহিদা মাফিক টাকা না পায় তবে কাগজপত্রের বিভিন্ন ত্রুটির অজুহাতে হয়রানি সহ ৫ থেকে ৩০ /৪০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়। তা না হলে সমিতির কোন ঘরে দলিল লেখা বা রেজিস্ট্রি হয় না। এই সমস্ত হয়রানির ভয়ে সেবা গ্রহীতারা কেউ প্রতিবাদ বা মুখ খুলতে সাহস পায় না।
এইভাবে সাব রেজিস্টারের সামনে ঘুষের লেনদেন হলেও দেখার কেউ নেই বলে ভুক্তভোগীরা সাংবাদিকদের জানান। সাব রেজিস্টার
নিকট কথা বলতে তালা ইসলামকাটি সাব রেজিস্ট্রি অফিসে গেলে সাবরেজিস্টার
অফিসে তালা ঝুলতে দেখা যায়। এ ব্যাপারে বড় বাবুর কাছে জানার চেষ্টা করলেই তিনি বলেন লেখেন কোটি টাকা কামিয়েছি বলে ফোনটা কেটে দেন।