মোঃ নয়ন মিয়া দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি
দিনাজপুর বিরামপুর সংখ্যালঘু আদিবাসীর ঘরবাড়ির উপর হামলা একজন গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। জানা যায় আজ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দিনাজপুর বিরামপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সংখ্যালঘু আদিবাসী শাওতালদের ঘরবাড়ির উপর হামলা করে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে। সরজমিনে জানা যায়,বিরামপুর পৌরসভার মামুদপুর সাঁওতাল পাড়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে। আদিবাসী সাঁওতাল পাড়ায় ৭-৮টি আদিবাসী পরিবার যুদ্ধের সাল থেকে বসবাস করে আসছিল মরিয়মের পরিবার। জাতি হিসেবে আদিবাসী মরিয়ম পিতা মংলা (মামুদপুর সাঁওতাল পাড়া) তারা স্থায়ী হিসেবে বসবাস করে আসছিল।
এমন অবস্থায় মরিয়ম তার পরিবার নিয়ে মহল্লায় শান্তি পূর্ণ ভাবে বাড়িঘর তৈরী করে বসবাস করে আসছিল। হঠাৎ করে উক্ত জমির হিসেবে দাবি করেন পার্শ্ববর্তী মহল্লার হরেকৃষ্ণপুর (আড়াপাড়া) মহল্লার মৃত্যু আবুল হোসেনের ছেলে জাহির উদ্দিন ও তাহের উদ্দিনের ওয়ারিশান। তারা ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে সাঁওতাল আদিবাসী পাড়ায় হামলা চালায়। তারা দাবি জানান উক্ত বসতবাড়ি জমির মালিকের ওয়ারিশ। এ অবস্থায় তারা পূর্বেও আদিবাসীর বাড়িঘর ভাংচুর করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ১৯ মার্চ সকাল আনুমানিক ১০-৩০ ঘটিকার সময় বিবাদী গন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অনধিকার ভাবে প্রবেশ করে লাঠিয়াল বাহিনীর দল আদিবাসীর বাড়িঘরে হামলা চালায়। লাঠিয়াল বাহিনী বাড়িতে মহিলা মরিয়ম শরীরে হাত দেয় ও মারপিট ও যখম করেন।
ফলে আদিবাসী মহিলা মরিয়ম শরীরের কাপড় ছিড়ে জখম হয়। এমন অবস্থায় পাড়া প্রতিবেশী গন এগিয়ে আসলে বাহিনীর হুংকারে ঘটনাস্থলে যেতে ভয় পেয়ে চিৎকার দেয়। বেগতিক অবস্থা দেখে লাঠিয়াল বাহিনী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় এ অবস্থায় হামলাকারী বাহিনী আদিবাসীর বাড়িঘর ভাংচুর চালিয়ে তাদের বাড়ির ঢেউ টিনের বেড়া ও ঘরবাড়ি ভাংচুর করে তছনছ করেন। এ অবস্থায় হামলাকারী বাহিনী ভাংচুর করে চলে যাওয়ার পর প্রতিবেশীরা গুরুতর জখম মরিয়মকে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেন। বাড়িঘর ভাংচুর ও জখম হওয়া নারী মরিয়মের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান,আমি উক্ত জায়গায় যুদ্ধের বছর থেকে বসবাস করে আসছি। কিন্তু পাশের হরেকৃষ্ণপুর (আড়াপাড়া) মহল্লার তাহের জাহের ও রুবেলের ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল বাহিনী আমার উপর হামলা চালায়।
মরিয়ম আরও জানান,উক্ত বসতবাড়ির জমি আমার বরাবরে বিক্রয়ের জন্য গত ০৫-০১-১৯১৭ তারিখ বিবাদী গন ৩শত টাকা মুল্যের নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে বায়না নামস দলিল করে দেন। বায়না নামা মূল্য মোট ৪,৮০,০০০ চার লক্ষ আশি হাজার টাকা। নগদ -২০০,০০০ (দুই লক্ষ টাকা) মাত্র। জমির পরিমান ১২ শতক জমি মাত্র। মেয়াদ ছিল ১ বৎসর। মৌজা মামুদপুর। অথচ উক্ত বায়না নামা দলিলে কোন প্রকার দাগ খতিয়ান নাম্বার ছিলনা। বায়না নামা দলিলে স্বাক্ষী হিসাবে ছিলেন,মনছুর হরেকৃষ্ণ পুর (আড়াপাড়া)। রিপন মামুদপুর সাঁওতাল পাড়া,স্নদিপ হরেকৃষ্ণ পুর হিন্দুপাড়া। এমন অবস্থায় আদিবাসী পাড়ার সাঁওতাল পরিবার উক্ত বিষয়ে সরেজমিনের সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান।