গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
মেয়াদউত্তীর্ণ ওষুধ সরবরাহ ও নানা অনিয়মের অভিযুগে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর এবং জেলা সিভিলসার্জন কার্যালয়ের যৌথ অভিযানে গাজীপুর মহানগরীর বোর্ডবাজার এলাকার বেশ কিছু স্বাস্থ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক জরিমানা ও সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী মেজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার লাবনীর নেতৃত্বে মঙ্গলবার (১৯মার্চ) বেলা ১১টা থেকে অভিযান শুরু হয়ে চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত।
এসময় নগরীর ৩৫নং ওয়ার্ডের বোর্ডবাজার এলাকার বোর্ডবাজার মেডিকেল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কাগজপত্রে ত্রুটি পাওয়ায় ১০হাজার টাকা নগদ অর্থদণ্ড জরিমানা আদায় করা হয়, সেই সাথে প্রতিষ্ঠানটি সাময়িক বন্ধ ঘোষনা করে তালা লাগীয়ে দেয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের মধ্যে সেবা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার অনুমতিপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্রের মেয়াদ না থাকার অভিযোগের প্রমান পায় ভ্রাম্যমান আদালত। এদিকে নগরীর বোর্ডবাজার এলাকায় আরও এক অভিযানে নিউ নিরাময় হোমিও কমপ্লেক্স নামে একটি ওষুধের দোকানে অভিযানে মেয়াদউত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করার দায়ে প্রতিষ্ঠানটিকে ২০হাজার টাকা জরিমানা নগদ অর্থদণ্ড আদায় করা হয়, প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগের মধ্যে জার্মানির ওষুধ নিজ প্রতিষ্ঠানের লগোযুক্ত করাসহ ভোক্তা রোগীদের সাথে প্রতারনার সত্যতা পায় ভ্রাম্যমান আদালত।
অপরদিকে একইদিন দুপুরে বোর্ডবাজার এলাকার নাসিমা ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টারের অনুমতিপত্র না থাকায় ৩৫হাজার টাকা নগদ অর্থদণ্ড নগদ জরিমানা আদায় করা হয়, একই সময় প্রতিষ্ঠানটি সাময়িক বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী মেজিস্ট্রেট লাবনি। অভিযান শেষে এসব বিষয়ে গণমাধ্যমকে সত্যতা নিশ্চিত করেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদা আক্তার। তিনি বলেন আজ তিনটি প্রতিষ্ঠানে অভিযানের সিদ্ধান্তে তিনটিতেই নানা অনিয়মের প্রমান মিলেছে। এর মধ্যে ২টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে জরিমানা আদায় ও সাময়িক বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। অপর একটি হোমিও চহকিৎসালয়ে মেয়াদউত্তীর্ণ ওষুধ ও অন্নান্য অনিয়মের প্রমান পাওয়ায় ২০হাজার টাকা অর্থদণ্ড জরিমানা করে তাকে সতর্ক করা হয়।
অভিযান পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারি পরিচালক ও গাজীপুর জেলা ভারপ্রাপ্ত সিভিলসার্জন ডা. মাহমুদা আক্তার, জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সহকারি সিভিল সার্জন ডা. এফএম আহসানউল্লাহ, জেলা সিভিলসার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. ঊর্মি পারভিন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর গাজীপুরের সহকারি পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম। উল্লেখ্য, গাজীপুর ভোক্তা অধিকারের কম্পিউটার অপারেটর প্রদিপ্ত কুমারের অভিযোগের ভিত্তিতে এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।